Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারের নতুন নির্দেশনা -বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি মূল্যায়ন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

 করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে (২০২০-২০২১) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গত সোমবার রাতে এই নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকারি অফিস সমূহের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের এপিএ বাস্তবায়নের মেয়াদ ৩০ জুন উত্তীর্ণ হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরের এপিএ’র অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার মূল্যায়নের বিষয়ে (প্রমাণকসহ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাধারণ নির্দেশনা আগেই সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। স¤প্রতি সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির জুন মাসে অনুষ্ঠিত সভায় কোভিড-১৯ মহামারি বিবেচনায় ২০২০-২১ অর্থবছরের এপিএ মূল্যায়নে কিছু নতুন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যেসব সূচকের কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি (অর্থাৎ অগ্রগতি শূন্য) সেসব সূচক এপিএ মূল্যায়নে বিবেচনা করা হবে না। এসব সূচকের মোট বরাদ্দকৃত নম্বর বাদ দিয়ে অবশিষ্ট নম্বরের আনুপাতিক হারে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের এপিএতে প্রাপ্ত নম্বর গণনা করা হবে।

কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে কোনো সূচকে ধার্যকৃত সর্বনিম্ন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম অর্জিত হলে উপযুক্ত প্রমাণকের ভিত্তিতে ওই সূচকের সর্বনিম্ন লক্ষ্যমাত্রা ও নম্বরকে ভিত্তি ধরে আনুপাতিক হারে নম্বর দেয়া হবে। যেহেতু ২০২০-২০২১ অর্থবছরের এপিএ প্রণয়নের সময় কোভিড-১৯ মহামারি ছিল এবং মহামারি ২০২০-২০২১ অর্থবছর সময়কালেই শেষ হওয়ার কোনো ইঙ্গিত ছিল না, সেহেতু ধরে নেয়া যায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব ও ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়েই নিজ নিজ এপিএ-তে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কাজেই ঢালাওভাবে মহামারির কারণে এপিএ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার দাবি বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নেই। তবে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর দুটি/একটি কাজ যদি শুধুমাত্র কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হয় কিংবা ৬০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম অর্জিত হয় এবং এসব বিষয়ে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকে শুধুমাত্র সেসব ক্ষেত্রে উপরো ল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণে এপিএ মূল্যায়ন করা হবে। এসব লক্ষ্যমাত্রাগুলো বিবেচনায় শর্তসমূহ অনুসরণ করতে হবে। প্র্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা কিংবা সিদ্ধান্তের কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে।

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিসভা কমিটি বা সচিব কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কোনো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা না গেলে এবং কোভিড-১৯ মহামারি বিবেচনায় অর্থ বিভাগের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা/সিদ্ধান্তের কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো ২০২০-২১ অর্থবছরের স্বমূল্যায়িত প্রতিবেদন উপযুক্ত প্রমাণকসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দাখিলের সময়সীমা আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, এই প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে নির্দেশনার আওতায় যেসব সূচকের নম্বর দাবি করা হয়েছে তা পৃথকভাবে উল্লেখ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি কর্ম সম্পাদন ব্যবস্থা পদ্ধতি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির নির্দেশনা অনুসরণ করে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত মূল্যায়ন সম্পন্ন করার অনুরোধ জানানো হয়। এক বছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে, সে কাজের একটি অঙ্গীকারনামা হচ্ছে এপিএ বা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সই করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে এপিএ করে থাকে। চুক্তি অনুযায়ী বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নম্বর দিয়ে থাকে।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ