Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্য চলতি অর্থবছরে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২১, ৬:০১ পিএম

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ হাজার ১০০ কোটি (৫১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে পণ্য রফতানি খাতে ৪ হাজার ৩৫০ কোটি (৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন) ডলার এবং সেবা খাতে ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ৭৫০ কোটি (৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন) ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ৩ হাজার কোটি (৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানির নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও ঘোষণা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করে এসব তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানি থেকে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় দেশের এবং আন্তর্জাতিক সকল বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের রফতানি ধারা অব্যাহত থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

তিনি জানান, মোট ৫১ বিলিয়ন ডলার রফতানির মধ্যে ১২ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে পণ্য রফতানি খাতে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতে ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে রফতানি খাতে ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ (৩৮.৭৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। বছরটিতে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। তবে বছর শেষে এ লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। বছরটিতে ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এর আগের বছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এ হিসাবেই গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ অর্জিত হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রার ৯৪.৫৬ ভাগ পূরণ হয়। শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে রফতানি আয়ের বড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের রফতানি খাত সচল রয়েছে এবং ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে আমাদের এই খাতকে প্রণোদনা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। রফতানিপণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ এসেছে। রফতানি বৃদ্ধির জন্য রফতানিকারক এবং রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। আমরা সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কোনো কঠিন কাজ হবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রফতানিখাতের বহুমুখীকরণে সরকার কাজ করছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমরা সব সময় রফতানিপন্যর বহুমুখীকরণের জন্য কাজ করছি। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে মোট রফতানি আয়ের ৮১ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাকখাত থেকে। এটা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৮৪ শতাংশ। ফলে রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ কিছুটা হলেও বাড়ছে। তবে পণ্য রফতানি বহুমুখীকরণ করতে গিয়ে আমরা তৈরি পোশাক খাতের প্রতি গুরুত্ব কমাতে চাই না। বরং পোশাক খাতের প্রতি গুরুত্ব অব্যাহত রেখে অন্যান্য খাতের পণ্য রফতানি বৃদ্ধি করতে সরকার কাজ করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার বেশ কিছু সেক্টরকে পণ্য রফতানিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, লেদার ও লেদারগুডস, প্লাস্টিক এবং কৃষিজাত পণ্য রফতানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতগুলোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ