পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জন্য উপহার হিসাবে ২৬০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে রংপুরের সুস্বাদু প্রজাতির এই হাড়িভাঙ্গা আম ভারতে যায়। সীমান্তে দুই দেশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভারতের উদ্দেশ্যে ২৬০ কার্টন বোঝাই ২৬০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম ভারতের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
ভারত-বাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বহু প্রতিক্ষীত তিস্তার পানি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছায়নি, করোনা ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার কারণে করোনার আবহে ভারত থেকে সেই ভ্যাকসিনও হঠাৎ করেই বাংলাদেশে যাওয়া থমকে গেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সৌজন্যতার কূটনীতিতে খামতি রাখতে চাইছে না বাংলাদেশ। জানা গেছে, ভারতকে সেরা উপহার পাঠাতে রংপুরের ওই সুস্বাদু হাড়িভাঙা আমের সংগ্রহ, প্যাকেজিংসহ গোটা বিষয়টি দেখভাল করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছয়জন কর্মকর্তাকে রংপুরে পাঠানো হয়েছিল।
দুই দেশের কর্মকর্তাদের অভিমত ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের জন্য এই আম পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। এর ফলে আগামীতে ভারত এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ হবে বলেও আশা তাদের।
বেনাপোল কাস্টমস’এর ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমা বলেন, বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হল ভারত। তাই এই বন্ধুরাষ্ট্রের প্রতি সৌহার্দ্য বিনিময় হিসাবেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার স্বরূপ এই আম পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে পেট্রাপোলের সহকারী কমিশনার মণীশ জৈন বলেন, কোভিড-১৯ আবহে গোটা বিশ্বে তথা ভারত-বাংলাদেশের যে গভীর মনোবেদনার মুহূর্ত তৈরি হয়েছে, আমার বিশ্বাস, সুস্বাদু আমের সেই স্বাদ সেই বিস্বাদ পরিবেশকে দূর করবে।’
তবে কেবলমাত্র ভারতের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই নয়, সুস্বাদু হাড়িভাঙা আম পাঠানো হচ্ছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা’কেও। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।