Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্মার্ট সিটির উন্নয়নে আগ্রহী জাপান

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশে স্মার্ট সিটির উন্নয়নে জাপান আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি। গতকাল রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় সাক্ষাৎকালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ইতো নওকি বলেন, স্মার্ট সিটির উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে আগ্রহী। আমরা বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নসহ অনেক ক্ষেত্রে অবদান রাখছি এবং জাপান এখন স্মার্ট সিটির বিকাশে আগ্রহী। তিনি জাপান ও বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিকাশের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার সহযোগিতা আরও বিস্তৃত হয়, সে বিষয়ে একত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত ইতো বলেন, আইসিটি এখন অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোন্ডঅপারেটিভ এজেন্সি (জাইকা) প্রযুক্তি নির্ভর মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ২০৪১ সালের জন্য মাস্টার প্ল্যান আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে পারে।

বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাপানি রাষ্ট্রদূতের কাছে দেশের আইটি খাতে যৌথভাবে কাজ করার কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে ইনফরমেশন শেয়ারিং লক্ষ্যে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, হাইটেক পার্কের অধীন জাপান-বাংলাদেশ আইটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাপানি টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের মাধ্যমে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট, জাপানি প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, এটুআই পরিচালনায় ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠিত, ই-গভর্নেন্স আরো টেকসই করা, বাংলাদেশ-জাপান ডিজিটাল সামিট ব্যবস্থা করা অন্যতম।
বাংলাদেশ স্মার্ট সিটির বিকাশে কাজ করার আগ্রহের প্রশংসা করে পলক জানান, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের কর্মসূচি- ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’- অর্থাৎ গ্রামীণ মানুষের কাছে সমস্ত আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে জাপান সহায়তা করতে পারে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনায়েত আহমেদ পলক বলেন, কেবলমাত্র স্মার্ট সিটির বিকাশই নয়, আমরা পুরো বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে পরিণত করতে এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অটোমোবাইল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জাপান সহায়তা দিতে পারে। আমরা ইতোমধ্যে ইআরডিকে বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিল্প বিপ্লব ৪.০ এবং সোসাইটি ৫.০ সম্পাদনের জন্য বিশেষত্ব পূরণের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এরই মধ্যে ৩৯টি হাই-টেক বা আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছি। নির্মিত হাইটেক পার্কগুলোতে জাপানি আইটি কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের জন্য সহযোগিতা করতে পারে জাপান।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণো কুমার ঘোষ এবং জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাপান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ