Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমি প্রতরণা করে একজনের কিছু টাকা নিয়ে নিয়েছি, সে জানেনা। আমিও সাহস করে বলতে পারছি না। এমতাবস্থায় আমি যদি এখন ওই টাকা তার নামে মসজিদে দান করি তাহলে কি মাফ পাব?

মো. মনির
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২১, ৭:২২ পিএম

উত্তর : এটি হচ্ছে সবশেষ বাঁচার উপায়। তবে, প্রতারণার কথা ওই ব্যক্তিকে না জানিয়ে অন্য কোনো কৌশলে তাকেই টাকাটা দিয়ে দিতে হবে। আর কোনো কারণে দিতে সমস্যা হলে তাকে সবকিছু খুলে বলে ফেলাই উত্তম। টাকাও দেওয়া হবে, আপনি আখেরাতে দায়মুক্তিও পাবেন। এতে আপনার ছোট হওয়ার সম্ভাবনা নাই, বরং নিজের ভুল বুঝতে পারা এবং মহাত্মই প্রকাশ পাবে। এরপরও যদি এ কাজে বাধা মনে করেন, তাহলে যে কোনো কৌশলে উনাকে টাকাটি দিয়ে দেন। সবশেষ পদ্ধতি হিসাবে তার পক্ষ থেকে দানের সুযোগ নিতে পারেন। তবে এটি পাওনাদারের বর্তমানে গ্রহণযোগ্য ও সঠিক পদ্ধতি নয়।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • mozahar ৮ জুলাই, ২০২১, ৬:২২ পিএম says : 0
    আমি একজন হাজি মানুষ। নির্মাণ কাজের জন্য আমি ও আমার বন্ধুর পরিবার মিলে এপার্টমেন্ট বানানোর দায়িত্ব নিয়েছি, যা খরচ হবে শুধু তাই ব্যয় হবে এভাবে মৌখিক চুক্তি হয়েছে। সহকর্মী ও গ্রাহকরা নির্দিষ্ট অংশের অর্থের বিনিময়ে আমাদের নির্মাণ পরিচালনার কাজ দিয়েছে। আমি সকলের সভাপতি বা প্রধান প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ফ্লাট মালিকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে নিজেদের ফ্ল্যাট নির্মাণ করলে এবং যাদের থেকে অর্থ নিচ্ছি তাদের না জানিয়ে নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে দিচ্ছি। যে পরিমাণ অর্থ খরচ হওয়ার কথা তার থেকে তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছি। আপত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজেদের লাভের জন্য নিয়মভঙ্গ করে অতিরিক্ত স্থাপনা নির্মাণ করছি। অস্বচ্ছ থাকার কারনে মানুষ আমাদের অতিরিক্ত অর্থ নিজেরা আত্মসাৎ করছি বলে মনে করছে৷ অতিরিক্ত অর্থ খরচের জন্য তারা হিসাব জানতে চায়, কিন্তু তাদের অংশের হিসাব না দিয়ে আমরা শুধু বলি টাকা দেন কাজ করে দিবো৷ উদাহরণ স্বরূপ ভালো লিফ্ট মেশিন এর কথা বলে কম দামে এ লিফ্ট কিনে বাড়তি অর্থ নিজেরা নিলে কি তাদের দাবির কারণে আমরা জাহান্নামী হতে পারি? যে পরিমাণ অর্থ খরচ হওয়ার কথা তার থেকে তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে কোন অন্যায় করা হবে কি? আর যদি নির্মাণ কাজের অতিরিক্ত অর্থ আমি না নিয়ে, আমাকে না জানিয়ে বন্ধুর পরিবার গ্রহণ করে কিন্তু আমি সকলের প্রধান প্রতিনিধি হিসেবে সমর্থন করি তাহলে ফ্ল্যাট মালিক ও গ্রাহকদের সাথে কোন অন্যায় করা হবে কি? এতে যদি কনো অন্যায় হয় তাহলে কোন কোন অন্যায় করা হবে? এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি? পক্ষপাতিত্ব বা পক্ষপাতিত্ব করা কি ইসলামে বৈধ? এই কাজ গুলোতে কোন অন্যায় করা হলে করনীয় কি? অনুগ্রহ করে বিস্তারিত জানাবেন৷
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ