Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাইকোর্টে দুই আসামি খালাস

শিশু ইতি ধর্ষণ-হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২১, ১১:৪৫ পিএম

তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষাথীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মেহেদী হাসান স্বপন (২২) এবং সুমন জমাদ্দার (২০)। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন সংক্রান্ত আবেদন) এবং আসামিপক্ষের আপিল শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি এ এসএম আব্দুল মবিনের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন করেন এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। আদেশের বিষয়ে শিশির মনির বলেন, পিরোজপুরের আদালত এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে আসামিদের মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট এটি প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে আসামিদের খালাস দিয়েছেন।এটি সংক্ষিপ্ত আদেশ। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে।

প্রসঙ্গত: পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের ফুলমিয়ার শিশুকন্যা ফাতেমা আক্তার ইতি (৯) তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। উপজেলার বুখাইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামে তার নানা মো. আব্দুর রব মাস্টারের বাড়িতে থেকে স্থানীয় হাতেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সে পড়তো। ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে ইতি তার নানার একটি গরু স্কুল মাঠে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়। দুপুর গড়িয়ে গেলেও সে ঘরে ফেরেনি। লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পর দিন দুপুরে প্রতিবেশী শাহজাহান জমাদ্দার বাগানে বিবস্ত্র অবস্থায় ওড়না পেঁচানো ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার ননী গোপাল রায় তার রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ইতিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে ইতির বাবা ফুল মিয়া ৬ অক্টোবর একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি এ দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ৭ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আসামি সুমন জমাদ্দার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে এই জবানবন্দি প্রত্যাহারও করেন। বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষ ১৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামিদের পক্ষে সাক্ষ্য দেন ১১ জন। ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম কিবরিয়া তার রায়ে স্বপন ও সমুনকে ফাঁসির আদেশ দেন। আপিল শুনানিতে শিশির মনির বলেন, আসামি সুমন জমাদ্দার দাবি করেন যে, তিনি ঘটনার সময় একজন শিশু ছিলেন। অর্থাৎ তার বয়স ছিল ১৬ বছর।
কিন্তু ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে তার বিচার করে ও মৃত্যুদন্ড প্রদান করে। মামলাটির বিচার ছিলো ওই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভুত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ