পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ, গণতন্ত্র, এই রাষ্ট্র সর্বোপরি এই জনপদ এক গভীর রাজনৈতিক সংকটে আচ্ছন্ন। দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক ভাবে নির্বাচিত একটি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। নির্বাচিত নয় এমন সরকারের দুঃশাসনে মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, দেশের বিপন্ন গণতন্ত্র রক্ষায় আজ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। শহরের প্রিয়া সিনেমা হল মিলনায়তনে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, কুষ্টিয়ার বিএনপি নেতা মাসুদ আহম্মেদ রুমি, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠ শিল্পী মনির খান, সাবেক এমপি শহিদুজ্জামান বেল্টু, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, হরিণাকুন্ডু বিএনপির সভাপতি এড এম এ মজিদ, বিএনপি নেতা জাহিদুজ্জামান মনা, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, এড মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, এড আব্দুল আলীম, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু ও আরিফুল ইসলাম আনন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, দেশের আইনৃংখলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে। পুলিশের আচরণে মানুষ আতংকিত। তারপরও পুলিশ প্রধান বলছেন তাদের দায় পুলিশ বাহিনী নিবে না। তাহলে নির্যাতিত মানুষ কার কাছে যাবেন ? তিনি বলেন, সারা দেশ ব্যাপী পাওয়া লাশের দায়ভার যদি পুলিশ না নেয়, তবে সরকারকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, এ সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। বাক, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মিডিয়াকে ন্যক্কার জনক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে না। কেও লিখতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি জেঁকে বসেছে। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলছেন তিনি নাকি প্রধান বিচারপতিকেই মানেন না। চরম দলীয়করণের কারণে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোন প্রতিষ্ঠানেই নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন সরকার কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। তিনি বলেন, এ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়, বাঁচতে চায়। ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই প্রেক্ষাপটে ঝিনাইদহের জেলা সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ন্যায়পরায়ণ শাসন কায়েম করতে বিএনপিকে আজ সুসংগঠিত করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ আজ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের সরকার বলে দাবী করছে, অথচ তারা ১৯৭৫ সাল থেকেই সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা শুরু করেছে। তারা সারা দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে একই স্বপ্ন দেখছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মনে কোন হতাশা নেই। আমরা জানি শুধু লড়াই সংগ্রাম। যতদিন বাঁচবো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাব। তিনি আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আমাদের নেতাকর্মীদের নামে রাষ্ট্রদোহিতার মামলা করছে সরকার। কিন্তু একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি যখন প্রধান বিচারপতির কোন আদেশ নির্দেশ মানি না বলে বিবৃতি দেন তখন তার নামে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয় না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করতে চাচ্ছে সরকার। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে বিশ্বের ম্যানগ্রোভ খ্যাত সুন্দরবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের সেদিকে কোন খেয়াল নেই। তাদের খেয়াল কি ভাবে দুর্নীতি করবে, কি ভাবে অবৈধ টাকার পাহাড় গড়বে। ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ সরকার আমাদের হরহামেশায় জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করে। কিন্তু আমরা জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী নং, আমরা ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করি। তিনি জঙ্গি নির্মূলে সারা দেশে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি বলেন, যারা আওয়ামীলীগের মতবাদকে বিশ্বাস করে না সরকার তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর হয়রানী করে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের মতবাদ বিশ্বাস করেন না বলেই আজ দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামী টিভি, দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করেছে। বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে বাংলাদেশের জন্ম থেকেই যুদ্ধ করে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে করেছিল স্বাধীনতার জন্য। আজ পর্যন্ত তারা লড়াই করে যাচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য। সম্মেলনে ৬ বছর আগে করা পুরানো কমিটির সভাপতি মো. মসিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেককে বহাল রেখে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার এড এস এম মশিয়ার রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।