পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যতদূর চোখ যায় সারি সারি আম গাছ। থোকায় থোকায় গাছে গাছে দোল খাচ্ছে আম। অত্যন্ত নজর কাড়া সুমিষ্ট এবং আঁশবিহীন এই হাঁড়িভাঙা আম। রংপুরের পদাগঞ্জ এলাকার এই হাঁড়িভাঙা আমের চাহিদা সবার কাছেই। কয়েক বছর ধরে ফলন ভালো হওয়ায় এবারো বেড়েছে রংপুরে হাঁড়িভাঙা আম উৎপাদনের পরিধি। আম চাষিরা বর্তমানে এখন বাগানের শেষ পরিচর্যা আর আম পাড়তেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
রংপুর সদরের ভুরারঘাট, রানীপুকুর, ধাপেরহাট এলাকা থেকে শুরু করে মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের পদাগঞ্জে যেতে দেখা মিলবে সারি সারি গাছ। রাস্তার দুই ধারে হাঁড়িভাঙা আম গাছের সারি সারি বাগান। বাড়ির চারপাশ ছাড়াও বিভিন্ন ফসলি জমিতে লাগানো হয়েছে হাঁড়িভাঙা আমের গাছ। একই চিত্র মিঠাপুকুরের আখিরাহাট, মাঠেরহাট, খোড়াগাছ, ময়েনপুর, মৌলভীগঞ্জের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ছাড়াও বদরগঞ্জের গোপালপুর, নাগেরহাট, কুতুবপুর, কাঁচাবাড়ি, সর্দারপাড়া, রোস্তমাবাদ, খিয়ারপাড়া, রংপুর সদরের সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নের কাঁটাবাড়ি, পালিচড়াসহ অন্যান্য এলাকাতেও।
হাঁড়িভাঙা আমটির ‘ইতিহাসের’ গোড়াপত্তন করেছিলেন নফল উদ্দিন পাইকার নামের এক বৃক্ষবিলাসী মানুষ। ৪৫ বছর আগে মারা যান তিনি। এরপর মিঠাপুকুর উপজেলার আখিরারহাট এলাকার আব্দুস সালাম সরকারের হাত দিয়ে রংপুর পেরিয়ে গোটা দেশে সম্প্রসারিত হয় এই আম। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এর চাহিদা।
কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, এ বছর জেলার প্রায় তিন হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৮শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে হয়েছে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ। জেলায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙা আমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৯শ’ ২৫ মেট্রিক টন।
তবে এ বছর মওসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে গুটি আসার আগেই অধিকাংশ বাগানের মুকুল ঝরে পড়েছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর হাঁড়িভাঙা আমের ফলন কম হয়েছে। গত ৪/৫ দিন থেকে বাজারে নামতে শুরু করেছে সুমিষ্ট এই হাঁড়িভাঙা আম। মৌসুমের শুরুতে এই হাড়িভাঙা আমের দাম কিছুটা কম রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম (বড়) ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দিন দিন বেড়ে চলেছে এর দাম। বাজারে কেনা ছাড়াও বড় বড় বাগান মালিকদের সঙ্গে সরাসরি এবং অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেও আম কেনা যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।