পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মরহুম শাহ আব্দুল হান্নান বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা-বিকাশ ও জাতিগঠনে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, বিআইআইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম. শমশের আলী। শাহ আব্দুল হান্নানের সততা ও কর্মদক্ষতা তুলে ধরে তিনি বলেন, তার ব্যক্তিগত জীবন বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি আলোকবর্তিকা।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থ্যট (বিআইআইটি) কর্তৃক আয়োজিত (ভার্চুয়াল) “বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা-বিকাশ ও জাতিগঠনে শাহ আবদুল হান্নান শীর্ষক আলোচনা ও দু’আ” অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিআইআইটির প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, শাহ আব্দুল হান্নানের জীবন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। বিরল চরিত্রের অধিকারী ও বহুমুখী প্রতিভা শাহ আব্দুল হান্নানকে দল-মতের উর্ধ্বে উঠে বিশ্লেষণ করার মধ্য দিয়েই দেশ, জাতি ও মানুষ প্রকৃতভাবে উপকৃত হবে।
বিআইআইটি’র সহকারী পরিচালক ড. সৈয়দ শহীদ আহমদের কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, বাইরাইন, সৌদিআরব, সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষক, শিক্ষকসহ তিন শতাধিক লোক অংশ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছীনের সিনিয়র সহ সভাপতি, মাওলানা কবি রুহুল আমিন খান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ও দু’আ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।