পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। চলমান লকডাউনের মধ্যে গত ৩ জুন খুলনার বিভিন্ন এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে জেলা প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় নগরীর সকল দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ করে দেয়া হয়। ৭ দিনের এই বিধিনিষেধে কার্যত করোনা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। ঠিক এই অবস্থায় আগামীকাল থেকে খুলনার দোকানপাট, রেস্তোরা, শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের ফলে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা খুলনা জেলার করোনা পরিস্থিতি আরো প্রকট আকার ধারণ করা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার দুপুরে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় জেলায় করোনাসংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জেলাব্যাপী এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে বিকাল পাঁচটা পর কোন দোকান, শপিংলমল, রেস্তোরা ইত্যাদি খোলা রাখা যাবে না। সকল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ইজিবাইক চলবে অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে। এই বিধিনিষেধ আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে।
কঠোরতা অবলম্বন না করে দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে অনেকেই মনে করছেন করোনার জন্য ঝুঁকি বাড়াবে। করোনা পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে তা প্রকাশ পেয়েছে ওই সভার প্রধান অতিথি খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের বক্তব্যে। তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ খুলনার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করে সংক্রমণ প্রতিরোধে কোন ভাল ফল পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে সমগ্র জেলায় বিধিনিষেধ আরোপ ও তা বাস্তবায়ন করতে না পারলে খুলনার করোনা সংক্রমণের উর্দ্ধগতি ঠেকানো যাবে না।
খুলনা সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেছেন একই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন সচেতনতা ও কঠোরতা বৃদ্ধি ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।