Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃত্যু ১৩ হাজার ছুঁইছুঁই করছে

দেশে করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজার ৯৮৯ জন অর্থাৎ ১৩ হাজার ছুঁইছুঁই করছে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দ্ইু হাজার ৫৭৬ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২০ হাজার ৩৯৫ জন।

গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ৮৬৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪৪৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬১ লাখ ২৬ হাজার ২৩৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

দেশে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, শনাক্তের হার ও মৃত্যু সবই বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এর উপরে হলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ধরা হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন ও সিলেট বিভাগে ২ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬ জন ও বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন ও শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ১৫২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫২৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৪৩ হাজার ৭১৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৭৮১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২২ হাজার ৯৩৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। তবে গত বছরের শেষ দিকে করোনা নিম্নমুখী হলেও চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়; সেখানে ১৯ এপ্রিলের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ওই দিনই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়।

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ