পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। গতকাল বুধবার সকালে ভার্চুয়ালি এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সুজন নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ইসিকে আইনের আওতায় এনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অভিযোগ গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলাম আমরা। এখন আমরা গণসাক্ষর অভিযান শুরু করছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম যেখানে নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রেসিডেন্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এটা বাড়তি কোনো চাওয়া না। যারা রাষ্ট্রের মালিক তারা চাইতেই পারেন। অতীতে নির্বাচন কমিশনের ত্রুটি বিচ্যুতি থাকা সত্ত্বেও মেনে নেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ভোটাধিকারের নির্বাসন কমিশন হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য সিইসির বিচার হওয়া দরকার।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধনকালে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ৪২ জন নাগরিকের দাবিটি দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দাবি। কারণ একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলা গণতন্ত্রের একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ। তাই ৪২ নাগরিকের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সুজন অনলাইনে এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের অসদাচারণ, গুরুত্বর দুর্নীতির একটা বিহিত হওয়া দরকার। আমরা ২টা চিঠি লিখেছিলাম প্রেসিডেন্টের কাছে। কিন্তু তার দফতরে চিঠি গেলেও সেরকম স্বীকৃতিমূলক রেসপন্স পাইনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন করেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্টের কাছে এ আবেদন করেন তারা।
এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলার জন্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে অনুরোধও জানিয়েছেন তারা। তাদের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, নির্বাচন কমিশনারদের বিশেষ বক্তা হিসেবে ২ কোটি টাকার বেশি গ্রহণ, কর্মচারী নিয়োগের নামে ৪ কোটি ৮ লাখ টাকার দুর্নীতি, নিয়মবহির্ভূতভাবে তিনটি করে গাড়ি ব্যবহার এবং ইভিএম কেনায় অনিয়ম।
এছাড়া অসদাচরণের মধ্যে রয়েছে- একাদশ জাতীয় সংসদ, ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম। তারা চিঠিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।