পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার টিকা ক্রয়ের লক্ষ্যে চুক্তির মাধ্যমে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি বাংলাদেশ ৬০০ কোটি টাকা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটকে দিয়েছে। কিন্তু ৭২ লাখ টিকা দেয়ার পর ভারতের মোদি সরকার সেরামের টিকা বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে আপাতত ভারতে উৎপাদিত করোনা টিকা দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি।
গতকাল শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ তথ্য জানান। এ খবর দিয়েছে কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার। বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ভারতের কাছ থেকে পাওয়া প্রথম দফার টিকা নিয়ে পরবর্তী দ্বিতীয় ডোজের জন্য বসে রয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজের সময় পেরিয়েছে আড়াই-তিন মাস।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীকে বাংলাদেশে টিকা রফতানি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, প্রতিষেধক ও অন্যান্য সরঞ্জাম বাংলাদেশসহ বাইরের দেশগুলিতে রফতানির ক্ষেত্রে ভারতই সবার আগে ছিলো। কিন্তু আমরা এখন বাইরে থেকে সরবরাহ (প্রতিষেধক) আমদানি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিষেধক বাংলাদেশে রফতানি করার প্রশ্ন ওঠাটাই ঠিক নয়। আমরা এখন ঘরোয়া প্রতিষেধক তৈরির কর্মসূচিকেই মূল লক্ষ্যবস্তু করছি।
কূটনৈতিক মহল বলছে, খুবই প্রাঞ্জল করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিষেধক বাংলাদেশসহ অন্য কোনো দেশে রফতানির প্রশ্নই উঠছে না। তার কারণ দেশে যেভাবে টিকাকরণ করা সম্ভব হবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিলো তার ধারেকাছে দিয়েও যেতে পারেনি মোদি সরকার। কিন্তু সেই সঙ্গে এই বিতর্কও উঠছে যে, কেন্দ্র নিজে থেকেই বারবার বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছিলো ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’র নীতির কথা বলে।
এপ্রিলের গোড়ায়, অর্থাৎ ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাইসিনা সংলাপে জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতের যেটুকু সম্পদ তা গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াতেই বিশ্বাস করে তার সরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বক্তব্য, ভারতের এহেন আশ্বাসেই অন্য কোনো দেশের দিকে তাকানো হয়নি। এমনকী প্রাথমিকভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো চীনকেও। উপায়ান্তর না দেখে এখন সেই চীনেরই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। যদিও আমরা এখনো জানি না, বাংলাদেশের যারা ভারতের কাছ থেকে প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে বসে রয়েছেন তাদের এখন প্রোটোকল কী হবে?
বাংলাদেশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা আরো বলছে, অবশ্য এ কথাও জানা যাচ্ছে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বেশ কিছুদিন আগেই ঘরোয়াভাবে ঢাকাকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যেন তাদের নাগরিকদের জন্য প্রতিষেধকের বিকল্প ব্যবস্থা করতে শুরু করে। কারণ, অন্য দেশকে দেওয়ার মতো বাড়তি টিকা ভারতের হাতে নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।