পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূ গণধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্টের জারিকৃত রুলের বিষয়ে আদেশ আজ (বুধবার)। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চে রুলের চূড়ান্ত শুনানি গ্রহণ শেষে এ তারিখ ধার্য করেন। গতবছর ২৯ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন একই আদালত। সেই সঙ্গে ওই ঘটনার অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। চার সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিতে ছিলেন, সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিনুন নেসা, চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেম ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন সুলতানা। এ কমিটি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে বলা হয়, সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হোস্টেল সুপার ও গ্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে এমসি কলেজের অধ্যক্ষও কোনোভাবেই ওই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। ধর্ষণের পেছনে মূলত হোস্টেলের বর্তমান তত্ত্বাবধায়কেরা, হোস্টেলের মূল গেটের ডে-গার্ড, ৫ নম্বর ব্লকের ডে-গার্ড ও নাইট গার্ড (নৈশ প্রহরী) এবং ৭ নম্বর ব্লকের ডে-গার্ড ও নাইট গার্ডের দায়িত্বে অবহেলা ছিল।
প্রসঙ্গত: গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া গৃহবধূ। পুলিশ ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ওসিসিতে ৩ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় ৬ ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ঘটনার পর সিলেটসহ সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে চালায়। র্যাব-৯ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া সিলেট জেলা পুলিশ দুজনকে, সুনামগগঞ্জ ও হবিগঞ্জ পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর ৮ আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি সাইফুর তারেক, রনি ও অর্জুন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।