পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রের জন্য করা আবেদনের উত্তর না পেলে সেটি মৌন সম্মতি হিসেবে ধরে নিতে পারবেন আবেদনকারীরা। এমন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতর জবাব না দেয়, তাহলে দেরি করা যাবে না। সেটিকে মৌন সম্মতি বা আপত্তি নেই বলে ধরে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। এছাড়াও নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন সরকার প্রধান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে বিজিবির নতুন ব্যাটালিয়ন স্থাপনসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে বৈঠকে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ২৩৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ২৪৯ কোটি ৯৩ লাখ ব্যয়ের লক্ষ্য রয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশিদ ও মোছাম্মৎ নাছিমা বেগম।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদনে সাড়া না দিলে সম্মতি ধরার বিষয়টি ডুয়িং বিজনেসের অবস্থার উন্নতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কেননা আমাদেরকে পরিবেশ যেমন বাঁচাতে হবে, তেমনি উন্নয়ন কাজও করতে হবে। অন্যান্য শিল্পকারখানাও করতে হবে। এসব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, কোনো প্রকল্পের আওতায় গাছকাটা হলে সেখানে প্রচুর নতুন গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে, যাতে পরিবেশের ক্ষতি পুষিয়ে উঠে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র এলাকায় রেস্টুরেন্ট তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেখানে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে তরুণ-তরুণীরাসহ যে কোনো বয়সের মানুষ বেড়াতে যেতে পারেন। ঘুরে ফিরে দেখার মতো পরিবেশ যাতে তৈরি হয়। অপর নির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নদীর সঙ্গে সংযোগ খাল যেন কোনোভাবেই বন্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা এসব খাল দিয়ে নদীর পানি যাতায়াত করে থাকে। অযথা সøুইস গেট তৈরি করা যাবে না।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কুষ্টিয়া (ত্রিমোহনী)-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ (আর-৭৪৫) আঞ্চলিক মহাসড়কটির কুষ্টিয়া হতে মেহেরপুর পর্যন্ত যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর নবসৃজিত নারায়ণগঞ্জ (৬২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ’ প্রকল্প; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র’ প্রকল্প; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোনস ডেভেলপমেন্ট (১ম পর্যায়- ৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প- ২য় পর্যায় (ইরেসপো-২য় পর্যায়)’ প্রকল্প; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলাধীন বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদের পণ্ডিতের হাট এলাকা ভাঙ্গন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্প; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ারড পাওয়ার প্রকল্প (পিজিসিবি অংশ: মাতারবাড়ী-মদুনাঘাট ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।