পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের শাক-সবজি ফল এসব রফতানি সরকার আরও বাড়াতে চায়। এ জন্য সরকার সব রকম সহায়তা দেবে। গতকাল সচিবালয়ে শাক-সবজি ও ফল রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় নিয়ে পর্যালোচনা সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শাক-সবজি, ফলমূল রফতানি করার অপার সুযোগ আমাদের রয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোতে যেসব সবজি যাচ্ছে তার বেশিরভাগ ভোক্তা প্রবাসী বাঙালিরা। শুধু বাঙালি মার্কেটে নয়, যারা মাইগ্রেন্ট তাদের মার্কেটে নয়, ইউরোপীয়রা যেখানে কেনাকাটা করে, তাদের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সেসব জায়গায় আমরা কীভাবে নিতে পারি, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় আমাদের আম যাওয়া শুরু হয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জাপানিদের সহযোগিতায় একটি ট্রিটমেন্ট প্রজেক্ট এনেছেন। আমরাও একটি প্রজেক্ট দিয়েছি। এটা করলে অনেক বেশি দামে আম রফতানি করা যাবে।
গত অর্থবছর কৃষিখাতে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার রফতানি হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে ১৬৪ মিলিয়ন ডলারের শাকসবজি রফতানি করা হয়েছে। এবার এটা অনেক বেশি হবে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১৮৮ মিলিয়ন ডলারের শাকসবজি রফতানি হয়েছে। শাকসবজি রফতানি আরও বাড়াতে চাই।
ড. রাজ্জাক বলেন, সব রফতানিকারককে ডেকেছি। কী সুযোগ-সুবিধা তাদের দিতে পারি, কী ধরনের বাধা বিপত্তি আছে সেসব দূর করে দিতে চাই। একটা ডেস্ক করছি। সেখান থেকে আমরা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যাব। ব্যাংকে যাব। কার্গো একটা বিরাট সমস্যা। বিদেশি এয়ারলাইন্সের বাধ্যবাধকতা ছিল ২০ শতাংশ বাংলাদেশের শাকসবজি নিতে হবে, সেটা এখন তারা নেয় না। এটাকে আবার আমরা আরোপ করতে চাই। বাংলাদেশে ফ্লাইট চালাতে হলে ২০ শতাংশ কৃষিপণ্য কার্গোতে বহন করতে হবে। ব্যাংক ঋণ দিতে চায় না কৃষিতে, সেক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করবো।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাঠ থেকে বিমানে ওঠা পর্যন্ত প্রত্যেক পয়েন্টে কৃষিপণ্যকে মনিটর করতে হবে। যাতে কোনো রকম রোগ-জীবাণু শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কোনো ধাতু আছে কি-না। এসব পরীক্ষা করে দেখতে হবে। জয়দেবপুরে একটি ল্যাব করেছি। প্রধানমন্ত্রী পূর্বাচলে দুই একর জমি দিয়েছেন, সেখানে অ্যাগ্রো প্রসেসিং ল্যাবরেটরি হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এবার প্রথম বাংলাদেশে ফলেছে জাপানের অত্যন্ত মূল্যবান আম ‘সূর্যডিম’ বা এগ অব সান। আন্তর্জাতিকভাবে এটি ‘রেড ম্যাঙ্গো’ নামে পরিচিত হলেও এর জাপানি নাম ‘মিয়াজাকি’। এই আম ফলনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আম খেয়ে প্রশংসা করেছেন। জাপান এই আম ব্রিটিশ রানি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের এই আম উপহার দেয়। খুবই নামকরা।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে এই আম রেড ম্যাঙ্গো নামে পরিচিত। সেই জাতও আমরা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছি। প্রায় ২০টি সেন্টারে গাছ লাগানো হয়েছে, উৎপাদন হয়েছে। গত বুধবার আমি চারটি আম আসাদ গেইট থেকে সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য দিয়েছি। কারণ উনি সর্বোচ্চ, উনার দেখা দরকার বাংলাদেশের সম্ভাবনাগুলো কোথায়।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধান এবং শাকসবজি ও ফল রফতানিকারকরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।