Inqilab Logo

সোমবার ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এপ্রিলে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কমে গেছে সাধারণ মানুষের আয় রোজগার। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের আয় কমেছে বেশি। অন্যদিকে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। ফলে মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তথ্যমতে, মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি বেড়ে এপ্রিলে হয়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি হয়েছে শূণ্য দশমিক ৯ শতাংশ।

স¤প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এপ্রিলের মূল্যস্ফীতির এই হিসাব তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। বিবিএসের কর্মকর্তারা জানান, চিড়া, মুড়ি, তরল দুধ, সবজির মধ্যে বেগুন, চালকুমড়া, টমেটো, বরবটি, শসা, গাজর, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, কাঁচকলা, লেবু, মসলার মধ্যে পিয়াজ ছাড়া সবকিছুর দাম বেড়েছে। ফলের মধ্যে তরমুজ, কলা, আপেলের দাম বাড়ায় মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

অন্যদিকে মুরগী, ডিম, কাঁচা মরিচ, পিয়াজ, পুঁইশাক, পালংশাকের দাম মার্চের তুলনায় এপ্রিলে কমেছে। আর চাল, মিষ্টি কুমড়া, পটল, লালশাক, ডাঁটাশাক, চিনি, লবণ, নুডুলস, সিগারেট, বিড়ি এবং মাছের মধ্যে রুই, চিংড়ি, বোয়াল, শিং, মাগুর ইত্যাদির দাম স্থিতিশীল ছিল।

বিবিএস প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এপ্রিল মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আগের মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ফেব্রæয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ০২ শতাংশ। গতবছরের ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। সাত বছর পর ২০২০ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ঘর অতিক্রম করে ৬ দশমিক ০২ শতাংশে উঠেছিল।

নভেম্বরে অবশ্য সামান্য কমে তা ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়। বিবিএসের তথ্য বলছে, এপ্রিলে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভ‚ত দুই খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভ‚ত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মার্চে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভ‚ত খাতে হয়েছিল ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, জানুয়ারিতে যা ছিল ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।

অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভ‚ত খাতে মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ফেব্রæয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। মার্চে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ফেব্রæয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এপ্রিল মাসে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। মার্চে হয়েছিল ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। ফেব্রæয়ারিতে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৩০ ভাগ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ