পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বজ্রপাত, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন ও টর্নেডোসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে রক্ষা করতে সামগ্রিক প্রস্তুতির কাজ করছি আমরা। এ জন্য একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছি। এগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়নও করছি।
রোববার (২৩ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র ও পাঁচটি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করছে। এই কাজের মধ্য দিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান দেয়ারও ব্যবস্থা করছি। সেমি পাকাঘর ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম ঘর করে দিচ্ছি। দুর্যোগকালীন মানুষের কাছে দ্রুত খাদ্য পৌঁছাতে ত্রাণগুদামের ব্যবস্থা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, এটি একটি বদ্বীপ, প্রতিনিয়ত দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগও আসে। সবই মোকাবিলা করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আসলেই আমাদের দাবিয়ে রাখা যায়নি। যাবেও না। আমরা সব দুর্যোগ-সংকট মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
এ সময় বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এরপর বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দল সরকার গঠন করেছে। কিন্তু কেউই দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা সেটা করছি। বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বে কীভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থা করা যায়, এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে একটা দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে। এটা আমাদের জন্য গর্বের।
করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনরা সবসময় মাস্ক পরবেন। হাত ধুবেন। নিজেদের সতর্কতার জন্য নিজেরাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। অন্যকেও উৎসাহিত করুন।
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের কাজ নিজে করা, বিশেষ করে যুবসমাজ নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সামনে আরকেটা ঘূর্ণিঝড় আসছে। আমরা সতর্কতা নেয়া শুরু করেছি। সবাই সতর্ক থাকলে আমরা এটাও হ্রাস করতে পারব।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালে যুক্ত দেশের তিনটি উপজেলার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।