পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই এবং জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে। মাছ চাষে মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
গতকাল শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে মৎস্য উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। এখানে ব্যাপক একটা কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়ে গেছে। কাজেই এই সুযোগটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। যেকোনো ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখে শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই যদি মৎস্য খামার করে, মৎস্য খামার থেকে মাছ উৎপাদন করে এবং সেটা যদি বিক্রি করে, তাহলে পয়সা পেতে পারে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের দিকে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সারা দেশে ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলার। সেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলা যায় এবং সেখানে মৎস্যজাত যেকোনো পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করতে পারে, সেই সুযোগটাও সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশ নদীনালা, খালবিলের দেশ। বাংলাদেশে শত শত নদী রয়েছে। তাছাড়া খাল-বিল জলাধারগুলো সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে যাতে আরও বেশি পরিমাণ মাছ উৎপাদন হয়, তার ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিভিন্ন মেয়াদে যুবসমাজকে ট্রেনিং দেওয়া, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, জলাধারগুলো সংস্কার করা, মাছ উৎপাদন বাড়াতে গবেষণার ব্যবস্থা করাসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে।
মাছের পুষ্টিগুণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে নিরাপদ পুষ্টি মাছই দেয়। একটা মানুষ যদি ৬০ গ্রাম মাছ খেতে পারে, সেটা তার জন্য যথেষ্ট। আমরা সেখানে অন্তত ৬২ গ্রাম পর্যন্ত নিতে পারি বা দিতে পারি, সেই সুযোগটাও সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের মাছের উৎপাদন যেখানে ২৭ লাখ মেট্রিক টন ছিল, এখন আমরা প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি উৎপাদন করা শুরু করেছি। আর ইলিশ উৎপাদনে পৃথিবীতে আমরা; কিন্তু এখন এক নম্বর দেশ। এছাড়া ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম। দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তুলে সেখানকার পণ্য বাজারজাতকরণের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে বিনা পয়সায় খাদ্য ও চাল দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া মৎস্যজীবীরা যাতে কোনও আর্থিক কষ্টে না পড়েন, সে লক্ষ্যে তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পর বর্তমানে পুষ্টি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে এখন আর কেউ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে না। খাদ্যতালিকায় শুধু ভাত নয়, বরং মাছ, সবজি, তরিতরকারি এবং ফলমূলসহ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, যে আদর্শ ও নীতি নিয়ে জাতির পিতা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই আদর্শ ও নীতি নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।
সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দীন ফরাজী, এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার। সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সায়ীদূর রহমান এবং সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।