পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত ও পিতৃপরিচয়ের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে একটি পরিবার। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের একটি হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সন্তানরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মা রাশিদা আক্তার। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মির্জানগর এলাকার আবুল বাসারের প্রথম স্ত্রী। এ সময় আবদুল্লাহ ও উসমান নামের ২ ছেলে উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে রাশিদা আক্তার বলেন, গত ৩০ বছর সংসারের জীবনে আমার ৪ ছেলে। আমার স্বামী আবুল বাসার আমার ও সন্তানদের অস্বীকার করে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমাদের নির্যাতন ও মারধর করেন। ২০১৮ সালে আমার অনুমতি ছাড়াই সে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এরপর থেকে অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। নির্যাতন ও ২য় বিয়ের কারণে কুমিল্লার আদালতে ৩টি মামলা দায়ের করি। মামলাগুলো বিচারাধীন। বর্তমানে আমার স্বামী আবুল বাসার তার চার ঔরসজাত সন্তানকে অস্বীকার করে এবং তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি না দিতে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মোট ২৬ শতক জমি ও চারটি ঘর রয়েছে। মাসে ৩০ হাজার টাকা ভাড়ার পুরোটা সে নিয়ে যায়। আমার সন্তানরা যেন সম্পত্তি দাবি করতে না পারে সে জন্য তার ছোট ভাই আবদুল কুদ্দুসের নামে ২১ শতক সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দেয়। বাকি ৫ শতক আমার স্বামীর নামেই রয়েছে।
আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য আমার স্বামী আবুল বাসার ও দেবর আব্দুল কুদ্দুস নানাভাবে চাপ ও হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এমনকি আমাদের বসত ঘরের বিদ্যুতের লাইনও কেটে দিয়েছে। আমার স্বামী কুমিল্লা কোর্ট থেকে আমাকে তালাকনামা নোটিশ পাঠিয়েছে, আমি আমার সন্তানদের নিয়ে নিরুপায়। আমি যেন আমার সন্তানদের নিয়ে বাঁচতে পারি তার একটা ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ২ ছেলে বলেন, আমরা বাবার কাছে একটু আশ্রয় চাই, আমাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা নাকি তার সন্তান না, এসব বলে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা ঘর থেকে বের হলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল বাসার বলেন, সন্তানদের অস্বীকার করার অনেক কারন রয়েছে। আপনারা সরেজমিনে এসে তদন্ত করলে আসল সত্য পেয়ে যাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।