পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের দাদাগিরি উপেক্ষা করেই এবার প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের কোম্পানীর টিকা এবার দেশেই উৎপাদন শুরু হতে যাচ্ছে। দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টাকে চীনের সিনোফার্মের টিকা উৎপাদন করতে অনুমতি দিতে যাচ্ছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। তবে গতকাল রোববার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, টিকা তৈরির জন্য এখনো কোনো কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে কোর কমিটির নম্বরে ইনসেপ্টা এগিয়ে রয়েছে। আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
অধিদফতরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, উৎপাদনে সক্ষমতা আছে এমন তিন চারটি কোম্পানি আমাদের কাছে আবেদন করেছিল। অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা যাচাইয়ে কোর কমিটিতে সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েছে ইনসেপ্টা। অনুমতি পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছে দেশীয় এই কোম্পানিটি। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বলেছে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসকে চীনা সিনোফার্ম টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে টিকা উৎপাদনের অনুমতি এখনো কাউকে দেয়া হয়নি। এ ধরনের খবর প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি না করতে অনুরোধ জানায় সরকারি সংস্থাটি।
এর আগে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানিয়েছিল, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে টিকা উৎপাদনে অনুমতি দেয়া যায় কি না তা প্রাথমিক সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণ বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কমিটি।
এ প্রসঙ্গে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের বিষয়টি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে আমাদের জানায়নি। গণমাধ্যম সূত্রেই জানতে পেরেছি যে, আমরা টিকা উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছি। প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা টিকা উৎপাদনে প্রস্তুত। আমরা ২০১১ সাল থেকেই টিকা তৈরি করে আসছি। দেশের লোকাল মার্কেটে যে টিকাগুলো ব্যবহার হয়, হেপাটাইটিস, টিটেনাস থেকে শুরু করে কুকুরে কামড়ালে যে টিকা (রেভিস) দেওয়া হয়, সেগুলোও আমরা উৎপাদন করে থাকি। এরকম প্রায় ১৪/১৫টি টিকা মার্কেটে আমাদের রয়েছে। সেই হিসেবে আমাদের প্রস্তুতি সবসময়ই থাকে। কোভিডের টিকা উৎপাদনেও আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। উৎপাদন সক্ষমতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, প্রতিমাসে এখন আমাদের চার কোটি ডোজ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
এদিকে গত বুধবার চীন থেকে করোনাভাইরাসের ৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। কয়েকদিন আগে চীনের রাষ্ট্রদূত ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জানান, গত ৫ ফেব্রæয়ারি চীন ৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে লিখিতভাবে জানান। সেই লিখিত চিঠির জবাব দিতে বাংলাদেশ সরকার তিন মাস সময় নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।