পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশি^ক মহামারি করোনা ভয়াবহতার মধ্যে আশার আলো হয়ে দেখাচ্ছে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ‘ফেরাম ফস-২৮’। এটি ভার্টেক্স ল্যাবরেটরিজের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মো. আজিজুর রহমানের উদ্ভাবিত একটি হোমিও পোটেন্সি মেডিসিন। এ ওষুধ মানবদেহের জীবনীশক্তি বৃদ্ধির মাধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে জানিয়ে এই চিকিৎসক জানান, নতুন এ মহামারি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে কার্যকর ভ্যাক্সিন বের করা। ইতোমধ্যেই বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বেশ কিছু ভ্যাক্সিন বের করলেও, নতুন এ ভ্যাক্সিন করোনা মহামারি ঠেকাতে কতটুকু কার্যকরি তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে একটি রোগের প্রায় শতভাগ কার্যকর ভ্যাক্সিন বের করতে আরও অনেক সময় প্রয়োজন। কিন্তু ততদিন আমরা বসে থাকতে পারিনা।
এ দুর্যোগের সময় প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারে আধুনিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। ‘ফেরাম ফস ২৮’ ওষুধটি এ ক্ষেত্রে করোনা চিকিৎসায় ভালো ফল দিচ্ছে। বয়স্ক ব্যক্তি অথবা ডায়াবেটিস আক্রান্ত করোনা রোগীদের ক্ষেত্রেও এর ফলাফল আশাব্যঞ্জক। ডা. আজিজ জানান, এটি একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। শুধু তাই নয়, অনেক হোমিও ডাক্তার এখনকার সময়ে ‘ফেরাম ফস ২৮’ ওষুধটিকে পরিবারের সকল সদস্যদেরকে সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকে, যাতে করে করোনা অথবা করোনার লক্ষন জাতীয় রোগ গুলোর বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডা. আজিজুর রহমানের ফেরাম ফস ২৮ ওষুধ সেবন করে ইতোমধ্যে অনেক করোনা রোগীই সুফল পেয়েছেন। রাজধানীর বাসিন্দা আনিসুর রহমান জানান, গত বছর করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি তখন আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ঠ হচ্ছিল। তখন একজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ডা. আজিজুর রহমানের কমলাপুর রেল ষ্টেশন পুরাতন জামে মসজিদ সংলগ্ন ভারটেক্স হোমিও হলে যায়। তার দেয়া ওষুধ সেবন করে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভালো ফল পেতে শুরু করি। ডাক্তার আমাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুস্থ হবে বলে জানিয়েছিলেন কিন্তু ১২ ঘন্টার মধ্যেই সুস্থ হতে শুরু করে আমার মেয়ে। আর ৫ দিন পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। তিনি বলেন, গত তিন দিন আগে আমার ছোট বোন ও তার ছেলে করোনা পজিটিভ হয়েছে। তাদেরকেও ডা. আজিজুর রহমানের দেয়া ওষুধ দিয়েছি। তাদের অবস্থাও উন্নতির দিকে। এভাবে গত কয়েকমাসে আমার পরিচিত আত্মীয় স্বজন অনেকেই তার ওষুধ সেবন করে ভালো ফল পেয়েছে।
ফেরাম ফস ২৮ কি: ‘ফেরাম ফস-২৮’ ভার্টেক্স ল্যাবরেটরিজের উৎপাদিত একটি হোমিও পোটেন্সি মেডিসিন। এটি মানবদেহের জীবনীশক্তি বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহার্য্য করে।
কখন খাবেন: জ্বর, ঠান্ডা, হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাস কষ্ট, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, অবসাদ, স্বাদ ও গন্ধহীনতা, চক্ষু প্রদাহ, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্রই এ ওষুধ সেবন শুরু করতে হবে। এর সেবনের মাত্রা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের নির্দেশিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়ে থাকে। এছাড়া একজন মানুষ সুস্থ শরীরে এ ওষুধ সেবন করলে উপরোক্ত লক্ষণ বা সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশংকা অনেকাংশে কমে যায়। কেননা ‘ফেরাম ফস ২৮’ উপরোক্ত লক্ষণের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গর্ভাবস্থায় অথবা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যঃ ‘ফেরাম ফস-২৮’ গর্ভাবস্থায় এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সম্পূর্ন নিরাপদ এবং পুরোপুরি কার্যকরি।
রোগীর বয়স: ‘ফেরাম ফস-২৮’ ওষুধটি ৩ বছরের শিশু থেকে ৮০/৯০ বছরের বৃদ্ধের জন্য উপযোগী। তবে অবশ্যই বয়সভেদে ঔষধের মাত্রার তারতম্য হবে। সেক্ষেত্রে একজন রেজিস্টার্ড হোমিও ডাক্তার রোগীর বয়স এবং রোগের তীব্রতা অনুযায়ী সেবনের মাত্রা নির্ধারিত করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।