পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার সংক্রমণ রোধে চলাচলে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের ২১ দিন পর আজ থেকে গণপরিবহন চালু হচ্ছে। শর্তসাপেক্ষে শুধু জেলা বা সিটির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করবে। অন্যদিকে, ঈদেও বন্ধ থাকছে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। ইতোমধ্যে বাস ও লঞ্চ মালিক সমিতি ঈদের দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চালু করার দাবি জানিয়েছে। যদিও সে দাবিতে সারা দেয়নি সরকার। এদিকে, দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় মহাসড়কে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের দাপট বেড়েছে চলেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেরে গাদাগাদি করে যাচ্ছে মানুষ। সেদিকে প্রশাসনের কোনো নজর নেই। পরিবহন নেতারা বলেন, দূরপাল্লার বাস চালু না করায় মানুষ যেভাবে গাদাগাদি করে যাচ্ছে তাতে করোনার ঝুঁকি আরও বাড়ছে। দূরপাল্লার বাসে সহজেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ পরিবহন করা সম্ভব ছিল। বিষয়টি সরকারকে আবারও ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়ে তারা বলেন, দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় মানুষ কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা, টেম্পু, হিউম্যান হলারসহ মালবাহী ট্রাকে মানুষ গাদাগাদি করে যাচ্ছে। বাস চালু হলে এসব মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিয়েই ঘরে ফিরতে পারবে। তাতে মধ্যবিত্তের অনেক সাশ্রয় হতো।
রাজধানী ও জেলা শহরগুলোতে গণপরিবহন চালু হলেও সেগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানানো সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে খোদ বাস মালিকদের মধ্যেই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আলাপকালে বেশ কয়েকজন মালিক বলেছেন, সিটি সার্ভিসে সারা শহর থেকেই যাত্রী ওঠানামা করে। আবার আসন খালি রেখে চলার নিয়মও যাত্রীরা মানতে চান না। বিশেষ করে পিক আওয়ারে যাত্রীরা ধাক্কাধাক্কি করে জোর করে উঠে পড়েন। তখন হেলপার বা কন্ডাক্টারের কিছুই করার থাকে না। ইতোপূর্বে এরকম বহু নজির রয়েছে। আবার পরিবহন শ্রমিকরাও অতিরিক্ত মুনাফার আশায় যাত্রী একবার উঠলে আর নামিয়ে দেয় না। বরং তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে ছাড়ে। একইভাবে যখন আবার যাত্রী থাকে না তখন তারা স্বাস্থ্যবিধির দোহাই দিয়ে ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। মতিঝিল থেকে মিরপুর নিয়মিত যাতায়াত করেন এমন কয়েকজন ভুক্তভোগি যাত্রী জানান, বিধিনিষেধের মধ্যে বাসের ভাড়া লাগামহীন হয়ে যায়। অতিরিক্ত যাত্রী তোলার পরেও ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া নেয় তারা। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে পরিবহন শ্রমিকরা ক্ষীপ্ত হয়ে দুর্বব্যহার করে। এ কারণে প্রায়ই তর্কবিতর্ক লেগেই থাকে। আবার গুলিস্তান থেকে রায়েরবাগের ভাড়া ফ্লাইওভার দিয়ে ১৫ টাকা হলেও বিধিনিষেধের মধ্যে দ্বিগুণ ভাড়া নেয়ার অভিযোগ এই রুটে চলাচলকারী সবগুলো বাস কোম্পানীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগিদের আশঙ্কা এবারও তাই হবে। তবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি এ বিষয়ে সাবধান করে দিয়ে বলেছে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা শহরের মধ্যে গণপরিবহন চলাচল করবে। ঢাকা মহানগরে গণপরিবহন চলাচলে সরকারের নির্দেশনা মেনে সব রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে: মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী গাড়িতে ওঠানো যাবে না এবং স্টাফদেরকে গাড়ির মালিক মাস্ক সরবরাহ করবেন। গাড়িতে সিটের অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে (অর্থাৎ দুই সিটে একজন যাত্রী বসবে)। লকডাউনে মালিক-শ্রমিকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এক্ষেত্রে রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির জিপির নামে কোনো ধরনের অর্থ গাড়ি থেকে আদায় করতে পারবে না।
এই বিষয়গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হলো বলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।