Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় আসন্ন বাজেটে তামাকে কর ‍বৃদ্ধি চান সংসদ সদস্যগণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২১, ৭:২৭ পিএম

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে তামাক দ্রব্যের কর বৃদ্ধির পক্ষে মত দিয়েছেন সংসদ সদস্যগণ। এজন্য সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাকদ্রব্যের দাম বাড়াতে চিঠি লিখে মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাবেন বলে তারা প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আজ ৩ মে ২০২১ সোমবার তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চ আয়োজিত ‘আসন্ন বাজেট: জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের কর বৃদ্ধি, অতিরিক্ত রাজস্ব আয় এবং আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তারা এ কথা বলেন। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চের সভাপতি জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।
ওয়েবিনারের শুরুতে তামাক কর বৃদ্ধির বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী। প্রস্তাবে বলা হয়, সব স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্যের ৬৫ শতাংশ, বিড়ির ৪৫ শতাংশ এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ৬০ শতাংশ সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপ করতে হবে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে সম্পূরক শুল্ক এবং ভ্যাট শুধু সিগারেট থেকেই অতিরিক্ত তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে।
প্রস্তাবে আরো বলা হয়, তামাকের কর বাড়িয়ে এর দাম বৃদ্ধি ও সহজলভ্যতা হ্রাস করতে পারলে প্রায় ১১ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে এবং ৮ লক্ষাধিক তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে। যার মধ্যদিয়ে পরবর্তীতে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার বর্তমান ধূমপায়ী এবং ৪ লাখ তরুণের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।
ওয়েবিনারে অংশ নেওয়া সংসদ সদস্যগণ সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবে সমর্থন জানান। জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে তামাকের ব্যবহার কমানোর জন্য অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়ে মত দেন তারা।
ওয়েবিনারে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি দপ্তর, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপসহ আইন সংশোধনের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। এজন্য রোডম্যাপ বাস্তবায়নেও জোর দেন তিনি।
ওয়েবিনারে জনাব রাশেদ খান মেনন এমপি, বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি ও জনাব খাদিজাতুল আনোয়ার এমপি যুক্ত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (এনসিডি) ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ