পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশের দরিদ্র, অসহায় ও কোভিড-১৯ এর কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১৫,৩০০ পরিবারের মাঝে রমাদান ফুড প্যাকেজ বিতরণ শুরু করেছে। কাতার রেড ক্রিসেন্ট এর সহযোগিতায় রাজধানী ঢাকাসহ ৪টি জেলা ও সিটি ইউনিটের মাধ্যমে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বিশেষত যারা দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত প্রতিটি পরিবারের মাঝে রমাদান ফুড প্যাকেজ (খেজুর, ডাল, সয়াবিন তেল, চিনি, লবণ, মুড়ি, চিড়া, ছোলা, বেসন, সেমাই ও সুজি) বিতরণ করা হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ফুড প্যাকেজ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগ জানায়, পবিত্র রমজান মাস ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ঢাকা সিটি এলাকায় ৫০০ পরিবার, রাজশাহী জেলায় ১০০০ পরিবার, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১০০০ পরিবার, নরসিংদী জেলায় ৫০০ পরিবার, মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৫০০ পরিবার, নারায়নগঞ্জ জেলায় ৫০০ পরিবার, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরের মাধ্যমে ১,০০০ পরিবার ও কক্সবাজারের উখিয়া-১১ ক্যাম্পে বসবাসরত বাস্তচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক ও উখিয়ার স্থানীয় কমিউনিটির ১০,৩০০ পরিবারসহ সর্বমোট ১৫,৩০০ পরিবারের মাঝে এই ফুড প্যাকেজ বিতরণ শুরু হয়েছে। উপকারভোগী নির্বাচনে অতি দরিদ্র, অসহায়, প্রতিবন্ধী ও নিম্ন আয়ের পরিবারসমূহকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আজ ২৫ এপ্রিল রবিবার পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন (পিএমও) কার্যক্রমের আওতায় কাতার রেড ক্রিসেন্ট এর সহযোগিতায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের হোস্ট কমিউনিটির ২৫০ পরিবার ও হলদিয়া ইউনিয়নের হোস্ট কমিউনিটির ২৫০ পরিবারসহ সর্বমোট ৫০০ পরিবারের মাঝে রমাদান ফুড প্যাকেজ বিতরণ করা হয়।
সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো: মিজানুর রহমান বলেন, দেশের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট। রমজান মাস উপলক্ষে দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে রমাদান ফুড প্যাকেজ বিতরণ সোসাইটির মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের একটি অংশ। তিনি বলেন, এই রমজানে ১৫,৩০০ পরিবারের মাঝে রমাদান ফুড প্যাকেজ বিতরণ করা হবে। তাছাড়াও রমজানে মাসে সোসাইটির উদ্যোগে কোভিড-১৯ ও চলমান লকডাউনের এর কারণে খাদ্য সংকটে থাকা রাজধানী ঢাকাসহ চট্রগ্রাম, হবিগঞ্জ, বরগুনা, মুন্সিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার অতি দরিদ্র, অসহায় ও নিম্ন আয়ের ভাসমান মানুষদের মাঝে রান্নাকরা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত ৮,০১৬ প্যাকেট রান্নাকরা খাবার অসহায় মানুষের হাতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা পৌছে দিয়েছে বলেও তিনি জানান।
অপরদিকে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ও এইচএসবিসি ব্যাংকের সহযোগিতায় সাইক্লোন আম্পান ও কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ৪ জেলার (খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পিরোজপুর) ৪ হাজার অসহায়, অতি দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ফুড প্যাকেজ (৭ দিনের জন্য) বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, সাতক্ষীরা জেলার অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ১২০০ পরিবার, খুলনা জেলার ১২০০ পরিবার, বাগেরহাট জেলার ৮০০ পরিবার ও পিরোজপুর জেলার ৮০০ পরিবারের মাঝে এই ফুড প্যাকেজ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পরিচালিত মায়ানমার রিফুউজি রিলিফ অপারেশন (এমআরআরও) কর্মসূচির মাধ্যমে কক্সবাজারে আশ্রয় ক্যাম্পে বসবাসরত জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মায়ানামারের ২৬,৩০৮ পরিবারের মাঝে হাইজিন কিট্স ৬,৪৭২ সেট গোসলের সাবান ২,০০,০৪২ পিস ও লন্ড্রি সাবান ১,০০,০২১ পিস্ বিতরণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।