Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাগড়াছড়িতে বোরো চাষিরা ভালো নেই

মো. ইব্রাহিম শেখ, খাগড়াছড়ি থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

সপ্তাহ খানেক পরেই শুরু হবে ধান কাটার উৎসব। গ্রামে গ্রামে ব্যস্ত হয়ে ওঠবে কৃষাণ-কৃষাণি আর কৃষি শ্রমিকরা। কৃষকদের অভিযোগ, পোকা-মাকড় ও নানা রোগে বোরো ধান আক্রান্ত হলেও কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ না পাওয়ায় বোরো চাষে ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়া চলমান খরা ও সেচ সঙ্কটের কারণেও প্রত্যাশিত ফলন না পাবার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

তবে খড়া মৌসমে পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থা, পোকার আক্রমন ও বøাস্ট রোগের কারণে খাগড়াছড়িতে এবার বোরো ধানের প্রত্যাশিত ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কয়েকদিন আগে দু’দফায় বৃষ্টি হওয়াকে আশীর্বাদ উল্লেখ করে প্রত্যাশিত বোরোর ফলন পাবেন বলে আশা করছে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি স¤প্রসরাণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর খাগড়াছড়ি জেলায় ১১৩৮৭ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বোরো হাইব্রিড ৫৬৮৫ হেক্টর এবং উফশী বোরো ৫৭০২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। বোরো হাইব্রিড প্রতি হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ৪.৭ মেট্রিক টন এবং উফশী বোরো প্রতি হেক্টরে ৩.৮৩ মেট্টিক টন ধরা হয়েছে। কিন্তু পোকা-মাকড়ের আক্রমন ও বøাস্ট রোগের কারণে অনেক ধানের থোড় চিটা হয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষক মো. নুরুল আলম, চাইলা মারমা ও মো. জামাল হোসেন জানান, ধানে পোকা-মাকড়ের পাশাপাশি বøাস্ট রোগের কারণে এবছর ভালো ধান হবে না। তাছাড়া কৃষি বিভাগের লোকজন প্রয়োজনীয় পরামর্শ না দেয়ায় নিজেদের মতো ওষুধ দিয়েছি। অনেক সময় ওষুধ কাজ না করায় ধান চিটা হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের কারণে সময় মতো সেচ দিতে না পারায় ধান জলে গেছে। এবছর প্রত্যাশিত ফলন পাওয়া যাবেনা।

মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বলেন, বিদ্যুত না থাকায় সময় মতো সেচ দিতে না পারায় এবং বøাস্ট রোগের কারণে প্রত্যাশিত ফলনের চেয়ে ফলন কম হবে বলে মনে করেন তিনি। ল²ীছড়ি ইউনিয়নে মেজর পাড়া ও মংহলা পাড়া এলাকা এবং দুল্যাতলী ইউনিয়নের বানরকাটা দেওয়ান পাড়া এলাকায় বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ল²ীছড়ি উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, আমাদের সঠিক সময় সঠিক পরামর্শ এবং কৃষকের নিবিঢ় পরিচর্যার ফলে এবার বোরো ধানের চাষ ভালো হয়েছে। আর কয়েক দিনের আবহাওয়া অনুকোলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর এর উপ-পরিচালক মো. মূর্তজ আলী বলেন, চলতি বছর বোরো ধান ভালো হয়েছিলো। কিছু জায়গায় সেচ সঙ্কটের কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হয়েছে। তবে গত কয়েকদিনে দু’দফায় বৃষ্টি হওয়ায় ফলন প্রত্যাশিত হবে বলে মনে করেন তিনি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা সঙ্কটের কারণে মুভমেন্ট কম হলেও তার কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের মাঠে যাচ্ছে, পরামর্শ দিচ্ছে। সেচ সঙ্কট দূর করা, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো হলে আরো বেশি জমি চাষাবাদের আওতায় আনা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->