Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মাহিনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৩ এএম

ওয়াসিফ আহমেদ মাহিন। বয়স ১৭ বছর ছাড়িয়েছে মাত্র। অত্যন্ত মেধাবি ছাত্র, ক্লাস ফাইভ, এইট এবং এসএসসিতে পেয়েছেন বৃত্তি। বাবা মা ও বোনকে নিয়ে স্বপ্ন অনেক বড় কিছু হয়ে দেশের সেবা করার। রাজধানীর বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে এইসএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র তিনি।

ওয়াসিফ আহমেদ মাহিনের বাবা নুরুল আমিন চাকরি করছেন একটি গার্মেন্ট এক্সেসরিজ প্রতিষ্ঠানে। আর মা সৈয়দা বদরুন্নাহার একজন গৃহিনী। ছেলেকে নিয়ে তাদের সব স্বপ্ন হোঁচট খায় গত জানুয়ারি মাসের পাঁচ তারিখে। কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামে বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্হ হয়ে পড়েন মাহিন।

তাকে প্রথমে বেসরকারী জহরুল হক মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তাররা নানা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বলেন, মাহিনের দুটো কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঢাকায় নিয়ে কোনো কিডনি বিশেষজ্ঞকে দেখান।

পরে মাহিনকে মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশনের ডাক্তার হারুন অর রশিদের তত্বাবধানে সেখান ভর্তি করা হয়। সেখানে নানা ধরণের পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানা যায় মাহিনের দুটো কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গেছে। যা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা জরুরি বলে জানিয়েছেন ডা. হারুন অর রশিদ। বর্তমানে সপ্তাহে দুদিন ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে।

ডা. হারুনের মতে মাহিনের কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে সিঙ্গাপুর অথবা থাইল্যান্ডে যেতে হবে। এতে সব মিলিয়ে ৪০-৪৫ লাখ টাকার দরকার হবে।

মাহিনের বাবা মা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, আমাদের ছেলেটা অনেক মেধাবি। ওকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো আমাদের। এখন শুধু হতাশা আর বোবা কান্না। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জমানো এবং ধারদেনা করে প্রায় সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ ছেলেকে বাঁচাতে হলে প্রায় ৪০-৪৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। এত টাকা আমরা কোথায় পাবো। তাই সমাজের বৃত্তবানদের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, তারা যেনো মেধাবি ছাত্র মাহিনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা মাহিন বলেন, ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হবো। দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। কিন্তু আজ আমার সব স্বপ্নই অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। মা বাবার বোঝা হয়ে হাসপাতালে শুয়ে আছি।

মাহিন আরো বলেন, বাবা স্বল্প বেতনের চাকরি করেন। কোনো রকমে আমরা দুভাই বোনের পড়ার খরচ চালানোর পর সংসার চালাতেন অনেক কষ্ট করে। আজ আমার চিকিৎসার পিছনে জমানো সব টাকা খরচ করে ফেলেছেন। বর্তমানে ধার দেনা করে চলছে। তাই আমি সমাজের দানশীল দয়াবানদের প্রতি আকুল আবেদন জানাই, আপনারা আমার চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়ান। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আমি মানবদরদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহোযোগিতা কামনা করছি। আমাকে সাহায্য করতে পারেন- বাবা নুরুল আমিন, ইষ্টার্ন ব্যাংক লি. ধানমন্ডি শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১০৬১২৬০১৮৮৪৮৮। মা সৈয়দা বদরুন্নাহার, মার্কেন্টাইল ব্যাংক- সাত মসজিদ রোড শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ০১২৩১২১০০০৫৩৭৪৩। বিকাশ নম্বর- ০১৯১২৬৪৯২৫১।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ