পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতে ইসলামের সাথে বিএনপি নয়, সরকারই জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সরকার ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। ২৬ মার্চের পর থেকে গত কয়েকদিনে কয়েক হাজার গ্রেপ্তার করে ফেলেছে এবং শুনলে অবাক হবেন আমাদের চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মবাড়ীয়া, ঢাকায় দলের (বিএনপি) কর্মীরা রাতে বাসায় থাকতে পারে না। বøক রেইড করছে, কেরানীগঞ্জে বøক রেইড করে আমাদের নেতা-কর্মীদের অ্যারেস্ট করছে।
কিছু বলতে গেলেই তারা বলে যে হেফাজতের সাথে সম্পৃক্ত আছে। আরে হেফাজতের সাথে সম্পৃক্ত তো আপনারা (সরকার)। আপনারা বসে, প্রধানমন্ত্রীর বাসায় বসে মিটিং করে তাদের (হেফাজতে ইসলাম) সঙ্গে চুক্তি করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে কওমী মাতা হিসেবে উপাধি দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির উদ্যোগে ‘করানো মোকাবিলায় স্থানীয় সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো সরাসরি বলে ফেলেন এতো কোটি টাকা দিয়েছি, আমরাই একমাত্র কাজ করছি। আর তো কেউ কাজ করছে না- এসব কথা বলেন। দায়িত্ব তো আপনারাই নিয়েছেন। দায়িত্ব তো পালন করতে হবে আপনাদেরকেই। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আপনারা প্রতি পদে পদে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। আপনারা জনগণের সমস্ত আস্থা হারিয়েছেন, বিশ্বাস হারিয়েছেন। এখন অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেছেন। এই দেশটাকে একটা পু্লিিশ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।
২৬ মার্চের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এখানে যে কোনো সংগঠনে, যেকোনো রাজনৈতিক দলের যে কোনো প্রতিবাদ করা তো তাদের অধিকার, এটা তার সংবিধান সম্মত অধিকার। আপনি গণতন্ত্রের কথা বলবেন অথচ কাউকে প্রতিবাদ করতে দেবেন না, কথা বলতে দেবেন না, অন্যায়গুলোকে তুলে ধরতে দেবেন না, ভুলগুলোকে চিহ্নিত করতে দেবেন না। তাহলে কিভাবে একটা সরকার চলতে পারে। এটা আর যাই হোক গণতান্ত্রিক সরকার হতে পারে না।
একাদশ সংসদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, পার্লামেন্টে আপনাদের লোকজন সব বসে আছে, আপনারাই নিশ্চিত করে দিয়েছেন কারা কারা পার্লামেন্ট সদস্য হবেন, কারা কারা হবেন না এবং সেই পার্লামেন্টে যা খুশি তাই আপনারা করছেন। একটা দিনও শুনিনি আমি যে, করোনা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, জনগণের আর্থিক অবস্থা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে। সেখানে শুধু বন্দনা, বন্দনা আর বন্দনার স্তুতি শুনেছি।
করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনায় এখন আমাদের আল্লাহর উপর ছেড়ে দেয়া ছাড়া আর কোনো কিছু করার নেই। ভ্যাকসিন প্রথম বার যারা নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয়বার সবাই ভ্যাকসিন পাবেন কিনা তা আমি জানি না। কারণ যা শুনতে পাচ্ছি যে, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিচ্ছে। একজন কিছুদিন আগে বলেছেন যে, একটা মাত্র দেশের উপরে এই যে নির্ভর করে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা-এটাও তো একটা ক্রিমিনাল ওফেন্স। আপনাকে একটা সরকার চালাতে হলে অনেক পথ খোলা রাখতে হবে। আপনি চীনকে বলে দিলেন যে, না তোমার এটা আমার দরকার নেই, ফেরত দিয়ে দিলেন। আপনারা ভারত থেকে নেয়া শুরু করলেন। তাও আবার অনেক বেশি দামে তাও ব্যাক্তি মালিকানায় একজন ব্যবসায়ীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তার কাছ থেকে এই ভ্যাকসিন আপনি নিচ্ছেন। এটা গর্ভামেন্ট টু গর্ভামেন্ট নেয়া যেতো। অন্যান্য দেশগুলো নিচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘একটি পথ বের করার’ আহবানও জানান বিএনপি মহাসচিব।
জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, করোনা সমস্যা মোকাবিলা জনগণের নিয়ে করতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এটা করার কোনো উদ্যোগ নেই। বিদেশীদেরকে আহবান জানাচ্ছি অথচ দেশের ভেতরে আমরা জাতীয় ঐক্য করতেছি না। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। জনগণের অংশীদারিত্ব ছাড়া এই সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব না। সরকারকে বলব, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করুন।
এতে জেএসডির প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও ফারাহ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজমুদার, জেএসডির কার্যকরী সভাপতি মো. সিরাজ মিয়া, আকম আনিসুর রহমান খান কামাল, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন তালুকদার, সহসভাপতি তৌহিদুল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।