পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৪০ টাকা কেজি চাল এবং ২৭ টাকা কেজি ধান কেনায় দাম নির্ধারণ
দেশে খাদ্য মজুদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি। গতকাল এ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে খাদ্য মজুদ বাড়াতে এবার চলতি বোরো মৌসুমে ১৭ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে খাদ্যশস্যের সরকারি মজুদের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়, গত ২১ এপ্রিল পর্যন্ত খাদ্যশস্যের মোট মজুদ ৪ লাখ ৬৮ হাজার টন। এর মধ্যে চাল ৩ লাখ ১০ হাজার টন এবং গম এক লাখ ৫৮ হাজার টন। গত বছর এই সময়ে খাদ্যশস্য মজুদ ছিল ১৩ লাখ ৭৬ হাজার টন।
সভায় থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, একজন মন্ত্রী এই মজুদকে আশঙ্কাজনকভাবে কম বলেছেন। তিনি দ্রæত মজুদ বাড়ানোর তাগিদ দেন। এ ছাড়া অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়, খাদ্যশস্যের মজুদ কমপক্ষে ১০ লাখ টন থাকা উচিত।
খাদ্য মজুদ বাড়াতে সরকার এবার চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মোট ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৩৯ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং কৃষকদের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৬ লাখ টন ধান কেনা হবে। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সংগ্রহ মূল্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর চূড়ান্ত হবে। এরপরই এটি প্রকাশ করা হবে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ধান এবং ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু করতে চায় খাদ্য বিভাগ। বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
গত বছর বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় গত বোরো ও আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল কিনতে পারেনি সরকার।
এবার গত বছরের চেয়ে চালের সংগ্রহ মূল্য কেজি প্রতি ৪ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে। তবে বর্তমান বাজারে ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো চাল নেই। এ অবস্থায় কেজিতে কম পক্ষে ১০ টাকা লোকসান দিয়ে মিলাররা সরকারের কাছে চাল বিক্রি করবে কি না সেটা অনেক বড় প্রশ্ন।
সভার সূত্র মতে, এবার বোরোতে চালের আকারে ১৫ লাখ টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হবে। যদিও খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ১৪ লাখ টন সংগ্রহের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু খাদ্য মজুদ বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো এক লাখ টন বেশি সংগ্রহ করতে বলা হয়।
সভায় এবার বোরো ধান ও চালের উৎপাদন ব্যয় তুলে ধরা হয়। কৃষি বিপণন অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, ধানের কেজি প্রতি উৎপাদন ব্যয় ২৬ টাকা ১ পয়সা, চালের ৩৮ টাকা ৯৬ পয়সা। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের ধানের ২৬ টাকা ১৯ পয়সা, চালের ৩৮ টাকা ৫৩ পয়সা; বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ধানের ২৫ টাকা ২৮ পয়সা, চালের ৩৭ টাকা ৭ পয়সা এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ধানের ২৭ টাকা এবং চালের উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ করেছে ৩৯ টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সভায় বলা হয়, ধান ও চালের এমন একটি সংগ্রহ ম‚ল্য নির্ধারণ করতে হবে যেটা বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা না হলে মূল্য নির্ধারণ করে কোনো লাভ হবে না। সরকার আগের মতো ধান-চাল কিনতে পারবে না।
এক্ষেত্রে খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী কেজি প্রতি চাল কেনার দাম ৪০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেন। কিন্তু অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছর চালের দাম ছিল ৩৬ টাকা, একবারে ৪ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকায় যাওয়া ঠিক হবে না। এটা খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে। তাই খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৩৯ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়া হয়।
সূত্রমতে, আলোচনার পরে ঠিক হয় কেজি প্রতি ধানের দাম ২৭ টাকা এবং চাল ৪০ টাকাই থাকবে, আর আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে সিদ্ধ চালের চেয়ে এক টাকা কম দামে। তবে এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নেবে। তারপরই বিষয়টি চ‚ড়ান্ত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।