পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ পরিবারকে ঈদের আগে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য প্রতিটি জেলায় তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওরা। আবার অনেক জেলায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে। তবে আর্থিক সহায়তার টাকা নয় বলে জানা গেছে।
আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সারাদেশে ৩৬ লাখ পরিবারকে মাথাপিছু ২৫০০ এবং ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন।
গত ৪ এপ্রিল সংঘটিত ঝড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলার ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯ হাজার ৩২৬ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগগ্রস্ত হয়েছে মর্মে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে তথ্য পাওয়া যায় এবং এতে করে ১ লাখ কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। কোভিড-১৯ এর ফলে কর্মহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ বাবদ ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। তবে, কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীতব্য তালিকাটি চূড়ান্ত হলে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।
জানা গেছে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ১২ মে তারিখে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদেরকে জিটুপি পদ্ধতিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এবারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় তহবিল-এ বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে নির্বাহ করা যাবে। প্রস্তাবটি বিবেচিত হলে ইতোপূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে অর্থ বিভাগের ডাটাবেজে সংরক্ষিত তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের সরাসরি অতি অল্প সময়ে আর্থিক সহায়তার অর্থ প্রদান করা যাবে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের গত ১৪ এপ্রিল থেকে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মটরশ্রমিকসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিতদের পুনরায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
চাঁদপুরে কর্মহীন সাড়ে ৫শ’ জনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ
চাঁদপুর জেলায় দুই দফা লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অটোরিকশাচালক ও বেদে সম্প্রদায়সহ সাড়ে ৫শ’ লোকের মধ্যে পাঁচ কেজি করে চাল (ত্রাণ) বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
গতকাল রোববার সকাল ১১টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে সামিজক দূরুত্ব বজায় রেখে চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এদেশের একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। এটি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার। সারাদেশের মতো আমাদের চাঁদপুরে লকডাউন চলছে। এ কারণে কিছু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তারা অনেক কষ্টে আছেন। তাদের কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রতিজনকে পাঁচ কেজি করে চাল দিয়েছি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ৩০০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মাখে ত্রাণ বিতরণ করেছে।বাস, দোকান কিংবা বিভিন্ন জনসমাগম স্থানে চাঁদা তুলে জীবন চলে তাদের। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের এই জীবিকার পথ। পড়েছেন নিদারুণ কষ্টে। এবার তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের দুর্ভোগের বিষয় চিন্তা করে এগিয়ে এসেছে জেলা প্রশাসক।
গতকাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেই চট্টগ্রাম নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বেলা ১১টায় এ সম্প্রদায়ের ৩০০ জনের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, করোনাকালে যেসব শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে বা কষ্টে আছে তাদের প্রত্যেকের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে আজ সমাজের অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন সমাজের অসহায় ও অসচ্ছল মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।