পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে যেভাবে মিথ্যাচার ও মানহানিকর আচরণ করা হচ্ছে, এতে মনে হচ্ছে আলেম-ওলামাগণ কোনো ভিনদেশী নাগরিক। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে কেউ আল্লাহর পাকড়াও থেকে রেহাই পাবে না। বর্তমান সরকার দলীয় প্রশাসন ভিন্ন মতাবলম্বিদের জন্য দেশটাকে একটি কারাগারে পরিণত করছে। কোনো সম্মানি ব্যক্তিদের ইজ্জত সম্মানের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। দেশের সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। এভাবে একটি সভ্য জাতি মান সম্মান নিয়ে টিকে থাকতে পারে না। অবিলম্বে ওলামায়ে কেরামের উপর জেল-জুলুম নির্যাতন বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। গতকাল বুধবার বিকেলে এক টেলিকনফারেন্সে মতবিনিময় শেষে দেশের শীর্ষ ওলামারা যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, নিরীহ মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উপর অন্যায়ভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা এবং শত শত নিরাপরাধ মানুষকে জীবনের তরে পঙ্গু করে দিয়ে আবার তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। আমীরে হেফাজত আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরীকে নতুন করে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজীজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা ইলিয়াছ হামিদী, মুফতী শরীফুল্লাহ ও মুফতী বশিরুল্লাহসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৪ জন, ভোলায় ৭ জন, সিলেটে ৭ জন, গাজীপুরে ৪ জন নরসিংদীতে ১ জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে ওলামা-মাশায়েখসহ দেশবাসী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। আল্লাহপাক কোনো জালেমকে ছেড়ে দেন না। আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা পেতে হলে অবিলম্বে এসব অমানবিক কর্মকান্ড বন্ধ করুন।
বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, আল্লামা ইয়াহইয়া হাটহাজারী, আল্লামা হাফেজ তাজুল ইসলাম, আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা আবুল কালাম, আল্লামা আব্দুল আউয়াল, আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বারিধারা, আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী, আল্লামা মুফতী মোবরক উল্লাহ, আল্লামা সাজেদুর রহমান, আল্লামা নুরুল ইসলাম খান দরগাহপুর মাদরাসা, আল্লামা মহিউল ইসলাম বুরহান (মুহতামিম রেঙ্গা মাদরাসা), আল্লামা মাহফুজুল হক, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী, আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা জসীম উদ্দীন,মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতী মনীর হোসাইন কাসেমী বারিধারা, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা নাসীরুদ্দীন মুনীর, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা মুছা বিন আযহার ও মুফতী আজহারুল ইসলাম। তারা আরো বলেন, আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, এদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক, আদর্শ ও শান্তিপ্রিয় সমাজ বিনির্মাণের চালিকা শক্তি ওলামায়ে কেরামের উপর জেল-জুলুম নির্যাতন বন্ধ করুন। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃতদের নি:শর্ত মুক্তি দিন। শত শত আহত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন। নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপুরণ দেয়ার ব্যবস্থা করুন। তাহলে দেশ জাতি ও সরকারের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। অন্যথায় এই পবিত্র মাহে রমজানে মজলুমদের আহাজারীতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠবে এবং আল্লাহর গজব থেকে কেউ রেহাই পাবেন না।
শীর্ষ ওলামারা আরো বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও এ মাসের অপরিসীম ফযিলত লাভের আশায় দেশ ও জনগনের কল্যাণ কামনায় মসজিদগুলো তারাবীহসহ সকল ইবাদতের জন্য উন্মুক্ত করে দিন, কোরআনে কারীমের তিলাওয়াতের জন্য মক্তব-হিফজখানাসমূহ খুলে দিন। সারাদেশে করোনা নামক মহামারি থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য উপরোল্লিখিত দাবিগুলো মেনে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।