পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের ‘উগ্র সাম্প্রদায়িক’ প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের কসাই খ্যাত নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে কর্মসূচি থেকে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে মোদি বিরোধী আন্দোলন থেকে গ্রেফতারকৃতদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়। এসময় আন্দোলনে সরকারি দলের ইন্ধন ও উস্কানিতে প্রাণহানি ও সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে এর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ ছাত্র- যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ডাকসু ভিপি নুরুলহক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, লেখক ও গবেষক রাখাল রাহা, লেখক ও আইনজীবি খাদেমুল ইসলাম, সমাজকর্মী এ্যাড.আবু হানিফ, রাষ্ট্র চিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
এছাড়াও সংবাদসম্মেলনে সংহতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড.আসিফ নজরুল, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট নাগরিকরা। সংবাদ সম্মেলন থেকে উদ্বিগ্ন নাগরিকরা মোদি বিরোধী আন্দোলনে সরকারের অন্যায়ভাবে দমন-পীড়নের সমালোচনা করে ছাত্রলীগ, যুবলীগের হামলার নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলন থেকে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করে হয়রানি বন্ধ ও কারা হেফাজতে নির্যাতন বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন। কারা হেফাজতের নির্যাতন বন্ধে আদালত ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও সোচ্চার হওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, দেশটা আজকে দূর্বত্তদের দখলে চলে গেছে। সরকারকে বলব অতীত ভূলে যান, সবার সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করুন। মানুষের কাছে ক্ষমা চান। ভিন্নমতের রাজনীতি করার কারণে যদি মানুষকে নির্যাতন করা হয় তাহলে আজকে হোক কালকে হোক তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা দেখেছি কিভাবে বাইতুল মোর্ক্রামে উসকানি দিয়ে সহিংসতার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। তার প্রতিক্রিয়ায় যখন হাটহাজারিতে মিছিল বের হলো সেখানে উসকানি দিয়ে চার জনকে হত্যা করা হলো। সরকার নাগরিকদের ব্যক্তিগত অধিকার হরণ করছে। টেলিফোন রেকর্ড ফাঁস করে নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্গণ করছে। আমরা ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।