পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
উদ্যোক্তাদের অতিরিক্ত সুবিধাদানের লক্ষ্যে এবং দারাজের প্ল্যাটফর্মে তাদের পণ্য বিক্রির অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ।
সম্প্রতি এক অনলাইন সম্মেলনে দারাজ গ্রুপের সিইও বিয়ার্কে মিক্কেলসন দারাজে বিক্রেতাদের প্রবৃদ্ধির জন্য মূল পরিকল্পনাগুলি ঘোষণা করেছেন। সদ্য চালু হওয়া এ উদ্যোগটির মাধ্যমে মার্কেট লিডার দারাজ এই সকল স্থানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করবে।
বিয়ার্কে বলেন, ‘সেলাররা দারাজ ইকোসিস্টেমের প্রাণকেন্দ্র। আর ২০২১ সালে আমাদের মূল্ লক্ষ্য হবে সাইন আপ পদ্ধতি সহজ ও দ্রুততর করনের মাধ্যমে বিক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করা এবং অনলাইনে আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করা। ২০২১ সালে আমাদের ‘সেলার প্রমিস’ হবে মূলভিত্তির জায়গা থেকে বিক্রেতাদের অভিজ্ঞতার উন্নয়ন এবং বাজারে পূর্ণ সম্ভাবনার সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে বিক্রেতাদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।’
এ ঘোষণার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিক্রেতারা যেন বিক্রি শুরু করতে পারেন, এজন্য সাইন-আপ প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর করা।
২. বিক্রেতাদের পেমেন্ট পরিশোধের সময়সীমা ১৪ দিন থেকে কমিয়ে ৭ দিন করা হবে।
৩. দারাজ সেলারদের তাৎক্ষণিক সাহায্য নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে লাইভ চ্যাটে বিক্রেতাদের অনুসন্ধানগুলির জবাব দেওয়া হবে।
৪. যেসব বিক্রেতাদের পণ্য প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হবে না, দারাজ এক্ষেত্রে তাদের সমস্যা চিহ্নিতকরণে দিক নির্দেশনা প্রদান করবে।
৫. সবশেষে, বিক্রেতারা যাতে করে খুব সহজেই ‘ক্লেইম’ করতে পারেন, এজন্য ‘ক্লেইম’ প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর করা।
কোভিডের কারণে খুচরা ব্যবসা ই-কমার্সের দিকে ঝুঁকছে এবং প্রতিমাসেই প্রচুর বিক্রেতা দারাজের সাথে যুক্ত হচ্ছেন। এরপরেও, ই-কমার্সে অনলাইন রিটেইল সংখ্যা এখনও বেশ কম; তবে, প্রত্যাশা করা হচ্ছে সামনের দিনগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার বাজারের দ্রুতগতিতে প্রবৃদ্ধি হবে। এ বিষয়ে দারাজের সিইও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, সামনের বছরগুলো নিয়ে আমাদের সেলার কমিউনিটি আমাদের মতোই আশাবাদী। অর্থনীতির ওপর কোভিডের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও আমরা মনে করি ২০২১ সাল ই-কমার্সের সফলতার বছর হবে। আমাদের সকল বিশ্বস্ত ও সম্মানিত বিক্রেতাদের জন্য উদ্যোগটি সফল করে তুলতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
দারাজের লক্ষ্য তার প্রযুক্তি, লজিস্টিক ও ব্যবসায়ের অবকাঠামোর মাধ্যমে এ সকল স্থানের উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন। প্রতিষ্ঠানটির ‘সেলার প্রমিস’ উদ্যোগ আগামী বছরে তাদের বিক্রেতা ও ইকোসিস্টেমের প্রতি ব্র্যান্ডটির প্রতিশ্রুতির সাক্ষ্যস্বরূপ। দারাজের প্যারেন্ট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা যেমন বলেছেন, ‘আমাদের দর্শন হচ্ছে আমরা একটি ইকোসিস্টেম হতে চাই। আমাদের দর্শন হচ্ছে বিক্রির ক্ষেত্রে, সেবাদানের ক্ষেত্রে অন্যদের ক্ষমতায়ন এবং এটা নিশ্চিত করা অন্যেরা আমাদের চেয়েও শক্তিশালী।’ আর এ লক্ষ্য নিয়েই দারাজ অনলাইন ব্যবসা কার্যক্রম সহজ করবে এবং বিক্রেতাদের ই-কমার্সে ব্যবসা করতে উৎসাহিত করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।