Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লকডাউন চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং সীমিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার সুপারিশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২১, ৬:০৩ পিএম

বাংলাদেশে বর্তমানে কোভিড-১৯ অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। গত কয়েক সপ্তাহধরে কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলছে। এ প্রেক্ষিতে সরকার ১৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখ থেকে কড়া লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে।

গত বছরের লকডাউন সাধারণ মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি ও জীবিকার উপর ঋণাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। এই সংকট এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বর্তমানের সংক্রমণ হার কমানোর জন্য কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভারসাম্য বজায় রাখাও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত “কোভিড অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ: কীভাবে সামলাব?” শীর্ষক সংলাপে। সংলাপটি আয়োজিত হয় ১২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে।

সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক, ড ফাহমিদা খাতুন সূচনা বক্তব্যে মন্তব্য করেন যে, গত বছরের থেকে এই বছর সংক্রমণের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরে আমরা দেখেছিলাম লকডাউন বেশ ঢিলেঢালাভাবে হয়েছিল। তিনি উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রাখা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

“আমাদের করোনা ভাইয়াস নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে” বলে মন্তব্য করেন মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এমপি, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই)-এর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)-এর সাবেক সভাপতি। তিনি টিকা প্রস্তুতকরণে দেশের ভেতরের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করতে বলেছেন। বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে এর আগেও কোভিড-এর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টা থাকলেও তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হয়নি বলে মতামত দেন ড আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, ব্র্যাকের সাবেক ভাইস চেয়ারপারসন, জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের প্রতিষ্ঠাতা ডিন, বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের আহ্বায়ক। বিজিএমইএ-এর নব-নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান মনে করেন যে, লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা অনেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য গনপরিবহন ব্যবহার করবেন, যা সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

সিপিডি’র সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মন্তব্য করেন, লকডাউনের অর্থনৈতিক একটি প্রভাব রয়েছে; কিন্তু এটি সংক্রমণ ছড়িয়ে পরা রোধে বাধা দেবে। তিনি আরও বলেন যে, জীবন এবং জীবিকার মধ্যে এখন জীবন কে অগ্রাধিকার দেয়ার সময় এসেছে এবং এর জন্যস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।

সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন ড এ এস এম আলমগির, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর); ড মুশতাক হোসেন, উপদেষ্টা, আইইডিসিআর; ড এ এম শামীম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ল্যাবএইড লিমিটেড; তাসলিমা আখতার, সভাপ্রধান, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি; হেলাল উদ্দিন, সভাপতি, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির ও ফারুক আহমেদ, মহাসচিব, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) ও সেক্রেটারি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।

সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান সহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অনেকে সংলাপে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মতামত তুলে ধরেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ