পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা সেনানিবাসস্থ সেনাসদর প্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাশে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সাথে সফররত ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে সেীজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। গতকাল আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতের সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার স্ত্রী বীণা নরভানে এবং দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রয়েছে। ভারতের সেনাপ্রধান বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও ভারপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী প্রধান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিও পরিদর্শন করবেন।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, আলোচনায় বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন বাস্তবায়ন, সেনা বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ, প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং প্রশিক্ষক বিনিময়, পারস্পারিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়সমূহের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ভারতের প্রশংসনীয় সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেনারেল আজিজ। একই ভাবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন সেনাবাহিনী প্রধান।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সাক্ষাতের পূর্বে গতকাল দুপুরে জেনারেল নারাভানে ঢাকা সেনানিবাসস্থ শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদৎ বরণকারী বীর শহীদদের স¥ৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর
সেনাকুঞ্জে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেীকস দল “গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। গার্ড অব অনার শেষে জেনারেল নারাভানে সেনাকুঞ্জে বৃক্ষরোপন করেন। জেনারেল নারাভানে এর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ৮ এপ্রিল সকালে ঢাকায় আসেন। সফরকালে ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ১১ এপ্রিল ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিতব্য ‘আর্মি চিফস্ কনক্লেভ’-এ অংশগ্রহণ করবেন। মুজিব জন্মশত বার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ৪-১২ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বহুজাতিক অনুশীলন ‘শান্তির অগ্রসেনা’ পরিচালিত হচ্ছে। এই অনুশীলনের সর্বাপেক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় ‘আর্মি চিফস্ কনক্লেভ’ যেখানে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের সেনা প্রধানসহ বিভিন্ন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধানগণ ও বিশিষ্ট অতিথিদ উপস্থিত থাকবেন। সফর শেষে ভারতীয় প্রতিনিধি লটি আগামী ১৩ এপ্রিল বাংলাশে ত্যাগ করবেন।-আইএসপিআর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।