পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় মাতৃত্বকালিন ছুটি ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করার অনুরোধ জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট জে.আর. খান রবিন। আরেক আইনজীবী শাম্মী আক্তারের পক্ষে তিনি এ নোটিশ দেন। প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হাইকোর্টে রিট করা হবে- মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় নোটিশে।
নোটিশে বলা হয়, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) চীনের ওহান শহরে উৎপত্তি হলেও বর্তমানে এ ভাইরাস সারা পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত। আমাদের প্রিয় মাতৃভ‚মিও এ ভাইরাসের আওতামুক্ত নয়। এ ভাইরাস ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং এক জনগোষ্ঠী থেকে অন্য জনগোষ্ঠীতে খুব সহজে সংক্রমিত হয়। এর প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের দেশেও প্রতিনিয়ত মানুষ মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও কষ্টদায়ক বটে। বাংলাদেশ সরকার এর কুপ্রভাব থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের নারীরাও কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উল্লেখ্য, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রীও সম্মানীত নারী। অন্যদিকে নারীদের মধ্যে অনেকেই বিচারপতি, বিচারক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। কর্মজীবী নারীরা তাদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন।
বর্তমান করোনাভাইরাসের কারণে গর্ভবতী নারীদেরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ইতিপূর্বে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলের (পার্ট-১) রুল ১৯৭(১) সংশোধনক্রমে সরকারী কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাসের পরিবর্তে ৬ মাস করলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা অত্যন্ত অপ্রতুল। কারণ, গর্ভবতী মা এ ভাইরাস কর্তৃক আক্রান্ত হলে তার গর্ভের শিশুসহ পরিবারের সকলেই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে একটি পরিবার পুরোপুরি হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়ে।
করোনা মহামারির মধ্যে সরকারী ও বেসরকারী কর্মক্ষেত্রে নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোসহ মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে সরকারী ও বেসরকারী কর্মজীবী নারীদের মধ্যে বৈষম্য অবসানের লক্ষ্যে সরকার সংশ্লিষ্টরা কোনোরকম পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।