প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : শরীয়তে যাদের সামনে যাওয়া যায় তাদের সামনে চেহারা, হাত পায়ের কব্জি ইত্যাদি খোলা থাকলে কোনো সমস্যা নেই। যাদের সামনে যাওয়া যায় না, অথচ পারিবারিক প্রয়োজনে অপারগত হয়ে সামনে যেতে হয়, তাদের সাথে সম্ভাব্য সর্বনিম্ন পরিমাণ হাত, পা ও চোখ খোলা রেখে বাকী সারা দেহ উত্তমরূপে ঢেকে কোনোরকম যাবে। মেহমানদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী যে যার সামনে চলা ফেরার সুযোগ আছে, ভাগ ভাগ করে সে তার সামনে যাবে। সামাজিক কারণে দুজনেরই যেতে হলে দৈহিক পর্দা এবং কঠোর নজরের হেফাজত করবে। যদি মেহমান নজরের হেফাজত না বোঝে, তাহলে তাদের সামনে বাইরের লোকেদের সমান পর্দা করতে হবে। গীবত সবসময়ই গীবত। যথাসম্ভব কঠোরভাবে বর্জন করতে হবে। একান্ত আলাপচারিতায় যদি বর্ণনাগত গীবত হয়ে যায়, সেটিও চেষ্টা করে ত্যাগ করতে হবে। গীবতসমৃদ্ধ এমন আলাপের জন্যও গীবত করার মতোই তওবা ইস্তেগফার করতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর ঘরোয়া ও দৈনন্দিন আলাপচারিতায় অপরের নিন্দা বা দোষ বর্ণনার বিষয়বস্তু বদলে কর্তব্য। অপরের দোষ ছাড়া নিজেদের মধ্যে নির্দোষ আলোচ্য বিষয় বৃদ্ধি করুন। সচেতনভাবে এমন করলে গীবত ছাড়াই সারাদিন আলাপ চালিয়ে যাওয়া যাবে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।