পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারা বিশ্বের মতো এবারও আজ (২ এপ্রিল) বাংলাদেশে পালিত হয়েছে বিশ্ব অটিজম দিবস। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য “মহামারী-উত্তর বিশ্বে ঝুঁকি প্রশমন, কর্মক্ষেত্রে সুযোগ হবে প্রসারণ।”
হোপ অটিজম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অধীনে পরিচালিত হোপ অটিজম বিশেষায়িত বিদ্যালয় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে একটি র্যালি বের করে। র্যালিটি ধানমন্ডি ১৫/এ থেকে শুরু করে ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে অটিস্টিক শিশু, কিশোর এবং তাদের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন।
র্যালির সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন হোপ অটিজম বিশেষায়িত বিদ্যালয়ের কোঅর্ডিনেটর রোকসানা সিদ্দিকা। তিনি জানালেন ২০০৮ সাল থেকে হোপ অটিজম বিশেষায়িত বিদ্যালয় অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ৮০ জন শিক্ষার্থী আছে।
হোপ অটিজম বিশেষায়িত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. নুসরাত ইয়াসমিন জানালেন শিক্ষার্থীদেরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যারা ছয় বছরের নিচে তাদের জন্য আর্লি ইন্টারভেনশন কার্যক্রম এবং যারা ছয় বছরের উপরে, তাদের জন্য রয়েছে প্রি-একাডেমিক, একাডেমিক ও ভোকেশনাল কার্যক্রম।
এই বিদ্যালয়ে মুলত সামাজিক ও আবেগীয় যোগাযোগ (সোশ্যাল-ইমোশনাল কমিউনিকেশন), ভোকেশনাল থিওরি, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার সক্ষমতা ইত্যাদি ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বলে জানান ডা. নুসরাত।
এছাড়া এই বিদ্যালয়টি বাচ্চাদের সামাজিক যোগাযোগে বিলম্ব কেন হয়- এসব বিষয় নিয়েও গবেষণা করে থাকে।
বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শেষে শিক্ষার্থীরা সমাজের মূল ধারায় মিশে যাচ্ছে। এতে তাদের কোনরকম সমস্যা হচ্ছে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থীর কাউন্সেলিং সাপোর্ট দরকার হয়ে থাকে, জানান ডা. নুসরাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।