পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাসপাতাল ও শয্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
মানুষের খামখেয়ালি আচরণ বন্ধ করতে হবে : প্রফেসর ডা. তাহমিনা শিরিন
কারফিউর মতো লকডাউন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মানুষ এভাবে মরতেই থাকবে : ডা. রিদওয়ানুর রহমান
করোনায় আক্রান্তের নিরিখে নয়া রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। এক লাফে অনেকগুণ বেড়েছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ৪৬৯ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। এর আগে গত বছর ৩০ জুন করোনায় সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। টানা তিন দিন দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গতকাল ছয় হাজার ছাড়াল। এর মধ্যে গত ২৯ মার্চ পাঁচ হাজার ১৮১ জনের, ৩০ মার্চ পাঁচ হাজার ৪২ জন ও গত বুধবার পাঁচ হাজার ৩৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ১৭ হাজার ৭৬৪ জন এবং মারা গেছেন নয় হাজার ১০৫ জন। গত বুধবারও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫২ জন।
সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে দেশের মোট ৩১টি জেলায়। এসব জেলাকে ইতোমধ্যে উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা জেলা হিসেবেও চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের মতে, দেশে সংক্রমণ আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ছে। সংক্রমণের চেইন যদি ভাঙতে হয়, তাহলে সারা বাংলাদেশের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এদিকে প্রতিদিন রেকর্ড নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ২৮ হাজার ১৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এরপরও টেস্ট না করাতে পারার চিত্রও আছে। লক্ষণ থাকা সত্তে¡ও দু’দিন রাত ৩টায় রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েও করোনার নমুনা পরীক্ষা করাতে পারেনি আব্দুর রহিম নামে এক ভুক্তভোগী। শুধু মুগদা হাসপাতালই নয়; এ চিত্র রাজধানীর অধিকাংশ হাসপাতালেরই।
সূত্র মতে, দেশে দ্রুতগতিতে বাড়ছে করোনার বিস্তার। চলতি মাসের শুরু থেকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও গত কয়েক দিন ধরে বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। শনাক্ত ও মৃত্যু প্রতিদিনই যেন রেকর্ড গড়ছে। নতুন সংক্রমিতদের বেশিরভাগই তরুণ। যাদের অনেকেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। নতুন শনাক্ত রোগীরা শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ ক্রিটিক্যাল সমস্যায় পড়ছেন। অধিকাংশেরই প্রয়োজন পড়ছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) বেড, কেবিন এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। হঠাৎ করে রোগী এবং করোনার ভয়াবহতা বাড়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হাসপাতালগুলো বিপাকে পড়েছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি করতে হচ্ছে। এমনকি সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেও ভর্তি ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী। প্রতিদিনই বাড়ছে এই চাপ।
প্রতিদিনই সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করলেও মানুষের মধ্যে যথাযথ সতর্কতা নেই। অথচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নানাবিধ সীমাবদ্ধতার মধ্যেও মাঠে থেকে করোনা নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, হঠাৎ করে ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার পেছনের কারণগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে যুক্তরাজ্যের নতুন স্ট্রেইন। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের মতে, আগের রূপের চেয়ে যুক্তরাজ্যের নতুন স্ট্রেইনটি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি মারাত্মক। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি আরো বাড়িয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য স্ট্রেইনের তুলনায় এই স্ট্রেইনটি ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি দ্রæত সংক্রমিত করছে। এছাড়া গত কয়েকমাস করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কিছুটা কমতে থাকায় মানুষ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেনি। সবাই বেশ গা-ছাড়াভাবে দেখেছেন ভাইরাসটিকে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মতে, এসব কারণেই নতুন করে আবার সংক্রমণের হার বাড়ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষের উদাসীনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির একটা বড় কারণ। এ জন্য দেশে এখন জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। এই উদ্যোগগুলো হলো- অপ্রয়োজনীয় সব ধরনের জনসমাগম প্রতিরোধ করতে হবে। যেমন- সভা-সমাবেশ, মিটিং, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, ওয়াজ-মাহফিল, বইমেলা-এগুলো বন্ধ করতে হবে। তা না হলে সংক্রমণ আরো বাড়বে। এগুলো করতে প্রয়োজনে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামাতে হবে। ভাইরাসটি কতটা মারাত্মক হতে পারে, সেই সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। যাতে মানুষ এটাকে গুরুতরভাবে নেয়। অন্যথায় মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানবে না। আর স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে এটাই স্বাভাবিক।
এছাড়াও হাসপাতালের ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। কারণ, সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, ক্যাপাসিটি না বাড়ালে যারা গুরুতরভাবে আক্রান্ত হবে, তাদেরকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না। হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলার সংখ্যা পাঁচ থেকে ১০ গুণ বাড়াতে হবে। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আইসিইউ শয্যা বাড়াতে হবে। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও যথাযথভাবে এই কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে। সব মিলিয়ে সরকারকে এখনই দ্রæত উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা।
আচমকা কেন এতটা বাড়ছে সংক্রমণ এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক, গøাভস কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো নিয়মগুলো বর্তমানে অনেকটাই ব্রাত্য হয়েছে দেশে। আর সে কারণেই আরো দ্রæত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, মার্চের শুরু থেকেই দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও গত কয়েক দিন ধরে তা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গত ২৬ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২৭ মার্চ তা বেড়ে ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, ২৮ মার্চ ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ২৯ মার্চ ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ৩০ মার্চ ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও গত বুধবার ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দাঁড়ায়। যা গতকাল ২০ শতাংশ ছাড়াল। আর গত এক সপ্তাহে করোনায় দেশে গড়ে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র মতে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নতুন করে আবার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। গত সোমবার জারি করা এই নির্দেশনা গত বুধবার থেকেই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম দু’দিন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে শারীরিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক পরে বের হওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো মানার ক্ষেত্রে সর্বত্রই অবহেলা দেখা গেছে। এমনকি চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ ২৯টি জেলা করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকলেও সেখানে পুরো মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। যদিও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেশের কোনো কোনো জায়গায় কিছুটা কঠোর ছিল প্রশাসন। বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার খবর পাওয়া গেছে। তবে তা নামমাত্রই। এক্ষেত্রে আরো কঠোরতার তাগিদ দিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। একই সঙ্গে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে ‘সংক্রমণ পরিস্থিতির সম্ভাব্য সঙ্কটময় অবস্থা’ সামাল দিতে সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল, বাবুবাজারের ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মহাখালী ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টার এবং ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতালসহ ৫টি হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই নেই রোগীদের। দেশব্যাপী লাফিয়ে লাফিয়ে রোগী বাড়ায় শুধু রাজধানীতেই নয়; সারা দেশেই হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা এবং আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
যদিও গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, হাসপাতালে এক ইঞ্চি জায়গা থাকলেও রোগী ভর্তি করা হবে। তিনি বলেছেন, করোনার প্রকোপ দিন দিন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে হাসপাতাল বেড দ্রæত বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই। এ কারণে সরকার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ সকল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেছেন, ১৮ দফা নির্দেশনা কার্যকর করতে বাস্তবায়ন কর্মসূচি বা প্রস্তুতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা, সামনে করোনা টেস্টের চাহিদা বাড়তে পারে, এজন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখতে হবে। একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধের জন্য অবিলম্বে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করে, পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা সম্পর্কে ইতিমধ্যে দেয়া নির্দেশনা পালন করার ব্যবস্থা নেয়া এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে দিক নির্দেশনা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর’র পরিচালক প্রফেসর ডা. তাহমিনা শিরিন ইনকিলাবকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছে না বরং মানুষ করোনা নিয়ে খামখেয়ালি আচরণ করছে। যা সংক্রমণ বাড়াতে কাজ করছে। সংক্রমণ কমাতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে জোরালো পদক্ষেপ- জমায়েত বন্ধ করা, মাস্ক পরতে বাধ্য করার ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন ডা. তাহমিনা।
বর্তমানে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তা চলমান থাকলে কি মৃত্যু আরো বাড়তে পারে? ঠিক এই মুহূর্তে আমাদের করণীয় কী? এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) প্রফেসর ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, গত কয়েক দিনের চিত্র দেখলে বোঝা যায়, সংক্রমণ কী পরিমাণে বাড়ছে। অনেকের অবস্থা গুরুতর। কাজেই প্রতিদিনই যদি এটা বাড়ে, তাহলে সামনের দিনগুলোতে মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে।
চলমান পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রথমেই সরকারকে ঘোষণা দিতে হবে, বাংলাদেশে এখন পরিস্থিতিটা মারাত্মক। “স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা” ঘোষণা করা উচিত। দ্বিতীয়ত, এটা ঘোষণা দেয়ার পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কিছু উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে মানুষের কাছে প্রতীয়মান হয়, পরিস্থিতি গুরুতর, সরকার এতে গুরুত্ব দিচ্ছে ও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারের উচিত এখনই একটি জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বসে আপদকালীন পরিকল্পনা তৈরি করা। সেই পরিকল্পনায় নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে। যেমন- আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সংক্রমণ কমিয়ে আনা; হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনা; হাসপাতালে যারা ভর্তি হবে তাদের সিভিয়ারিটি কমিয়ে আনা ও মৃত্যু কমিয়ে আনা। এখন এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে কিছু উদ্যোগ নিতে হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনে সংক্রামক আইনও ব্যবহার করতে হবে। যাতে সরকারের উদ্যোগ দ্রæত কার্যকর করা যায়।
প্রফেসর বে-নজির আহমেদ বলেন, আমাদের এখানে এখনো সভা-সমাবেশ হচ্ছে। এগুলো কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। বইমেলা চলছে। সরকার যদি ঠিক এই মুহূর্তে বইমেলাটা বন্ধ করে দিত, তাহলে প্রমাণ পাওয়া যেত, সরকার সিরিয়াস এবং উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। বাজার-ঘাট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাতে প্রয়োজনের বাইরে সেখানে ভিড় না হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয়ভাবে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।