Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা বান্ধব কারখানা নিশ্চিত করতে চান এম কফিল উদ্দিন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২১, ৬:৪২ পিএম

দেশের পোশাক শিল্পের একজন সফল উদ্যোক্তা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ আসন্ন বিজিএমইএ নির্বাচনের পরিচালক পদে সম্মিলিত পরিষদের টিকিট নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে যাচ্ছেন। জে.এফ.কে ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কফিল বলেছেন, নির্বাচিত হতে পারলে পরিবেশ ও শ্রমিক নিরপত্তা বান্ধব কারখানা নিশ্চিত করতে চান।
পরিবেশবান্ধন কারখানা স্থাপনে ভ’মিকা রাখতে চান এম কফিল উদ্দিন। নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জে.এফ.কে ফ্যাশনকে যেমন পরিবেশবান্ধব করেছেন সব প্রতিষ্ঠানকেই পরিবেশ বান্ধব করার স্বপ্ন দেখেন জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব কারখানায় বিদ্যুৎ ও পানির খরচ কম হয়। কার্বন নিঃসরণও কম। শ্রমিকেরাও ভালো পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পান। পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার সংখ্যার দিক দিয়ে অন্য প্রতিযোগী দেশগুলো বাংলাদেশের ধারেকাছেও নেই। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা পরিবেশবান্ধব কারখানার ব্র্যান্ডিং করলেও সামগ্রিকভাবে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে না। অথচ সেটি করা গেলে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হতো। তাতে পুরো পোশাক খাতই উপকৃত হতো। তাই পরিবেশবান্ধব কারখানা নিশ্চিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন তিনি। এছাড়া পোশাক খাতের সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার কথা জানান কফিল।
তিনি বলেন, বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে উঠাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। এজন্য শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, টেকসই পোশাক খাতের জন্য ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখা, পণ্যের মান উন্নয়ন ও বৈচিত্রেও গুরুত্ব দিয়েই এই খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য পরিবেশ বান্ধব কারখানা ও শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিকল্প নেই।
পোষাক শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গবেষণা, আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদাসম্পন্ন উদ্ভাবনী পণ্য ও ডিজাইন সৃষ্টিতে গুরুত্ব দেওয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন দেশের সফল এই পোষাক শিল্পের উদ্যোক্তা। তার মতে, নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়াতেও মনোযোগ দিতে হবে। এজন্য বিদেশি ক্রেতা, সরকার, মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা হবে। উদ্যোক্তাদের আরও দায়িত্বশীল করা এবং তাদের স্বার্থ সংরক্ষণেও উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার এবং প্যানেলের। এম কফিল উদ্দিন বলেন, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে গত অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি ২৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। আগের বছর এর পরিমাণ ছিল ৩৪ বিলিয়ন ডলার। এমন প্রেক্ষাপটে কার্যকর কৌশলই পারে রপ্তানি বাড়াতে। এজন্য নিতে হবে কার্যকরী কৌশল। রপ্তানি বাড়লে শ্রমিকের চাহিদাও বাড়বে। তখন আর ছাঁটাই হবে না।
উল্লেখ্য, দশ হাজার দক্ষ শ্রমিক ও কর্মচারীর সমন্বয়ে পরিচালিত ১২ টি শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে গড়ে উঠা “রশিদ গ্রুপের কর্ণধার এম কফিল উদ্দিন। এছাড়া বি.জি.এম.ই.এ, এফ.বি.সি.সি.আই, বারভিডা, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ অটো ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন লিঃ, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ সি.এন.জি এন্ড ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন লিঃ এবং বিভিন্ন সেবামূলক, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে শিক্ষা, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সেবামূলক কর্মের মাধ্যমে জনসাধারনের কাছে সুপরিচিত তিনি। কোভিড-১৯ মহামারীকালীন সময়ে তার বিশেষ অনুদান ও সহযোগিতা, এই শিল্পের লক্ষাধিক শ্রমিকদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও খাদ্য বিতরন করার বিষয়গুলো অনেকেই অবহিত। এছাড়া মালিক,শ্রমিকদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের জন্য নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখাসহ একটি আধুনিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পোশাক শিল্প গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ