পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জীবন মানেই সংগ্রাম। আর আমাদের এই সংগ্রামটা সমাজে ভালোভাবে বাঁচার জন্য। জীবনের সঙ্গে এমনই এক যুদ্ধ করে চলছেন বিক্রমপুরের মুন্সিগঞ্জের সংগ্রামী নারী বেবী আক্তার। বাবা-মা,স্বামী-সংসার নিয়ে মাঝে কিছুটা সময় ভালোই ছিলেন তিনি। তবে বেশ কয়েক বছর আগে সংসার ভেঙ্গে যাবার পর একমাত্র পুত্র সন্তান দীন ইসলামকে নিয়ে কোনো রকম বসবাস করছেন তিনি। ছেলে সন্তান ছোট থাকার কারণে দেড় বছর আগে সংসার চালানোর জন্য নিজেই হাতে তুলে নেন রিক্সা। মিরপুর ১১, ১২ নাম্বার এলাকায় সকলে তাকে বেবী নামেই চিনেন। ঠিকমত ভাড়া না পাবার কারণে রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে এখন তাঁর। এমনই এক কষ্টের কথা একটি সংবাদমাধ্যমে বলার পর করুণা এই ভিডিওচিত্রটি চোখে পড়ে স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসিরের। এরপর স্বপ্ন’র তেজগাঁও অফিসে ডেকে আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ সময় স্বপ্ন’র বিজনেস ডিরেক্টর সোহেল তানভির খান, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান শাহ মো. রিজভী রনী, মিডিয়া অ্যান্ড পিআর ম্যানেজার কামরুজ্জামান মিলু উপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল থেকেই শুরু হবে তাঁর নতুন কাজ। মিরপুর ১১ নাম্বার এলাকার ‘স্বপ্ন’ আউটলেটে হোম ডেলেভারি কাজে নিযুক্ত হয়ে বেশ খুশি তিনি। নিজের রিক্সা দিয়েই এবার আশ-পাশের বাড়িতে হোম ডেলিভারি করবেন বেবী। এর বিনিময়ে প্রতিদিনের পারিশ্রমিক প্রতিদিনই পাবেন তিনি। এমন কাজের সুযোগ পাবার পর বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বেবী আক্তার বলেন, আমি সত্যিই আনন্দিত। কারণ রিক্সা জমার টাকা দেবার পর আমার হাতে ১৫০-২০০ টাকার বেশি থাকতো না। আমার ছেলেটা ক্লাস ফাইভে পড়াশুনা করছে। সারা দিন-রাত পরিশ্রম করেও সংসার ভালোভাবে চলত না। ‘স্বপ্ন’ আমাকে উপযুক্ত একটা পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করে দিল। ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।