পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না, ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না, আকাশ থেকে কুঁড়েঘর দেখা যায় না। এগুলো হচ্ছে বাস্তবতা, কেউ স্বীকার করুক আর না করুক। বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে। ১২ বছর আগে যে ছেলেটি বিদেশ গেছে সে এখন দেশে এলে তার গ্রাম চিনতে পারে না। কেউ উন্নয়ন দেখতে পাক বা না পাক এটাই বাস্তবতা।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডিআরইউ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গে বক্তব্যকালে তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন। আলোচনা সভা শেষে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘সিটি ব্যাংক-ডিআরইউ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে স¤প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে অনেক উন্নত দেশেও এ পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে না। যুক্তরাজ্যে প্রতিনিয়ত ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমকে মোটা অংকের জরিমানা দিতে হয়। আমাদের দেশে কোনো একজনের বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ পরিবেশন করা হলে সংবাদটি প্রথম পেজে দিলেও প্রতিবাদটি ছাপা হয় তৃতীয় পেজে ছোট করে। আর টিভিতে কোনো অসত্য প্রতিবেদন হলে তার প্রতিবাদ তো কোনোভাবে সেখানে যায় না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সারাদেশের সবার ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য, এটি কোনো একটা বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য নয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৫০ বছরে গণমাধ্যমে অনেক বিকাশ ঘটেছে। ১২ বছর আগে বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল সাড়ে ৪শ, এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা সাড়ে ১২শ। ১২ বছর আগে টেলিভিশনের সংখ্যা ছিল ১০টি, প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রথমবার দায়িত্ব নেওয়ার পর। এখন অনএয়ারে আছে ৩৪টি টিভি চ্যানেল, আরো অনএয়ারে আসার অপেক্ষায় আছে ১১টি। অনলাইন গণমাধ্যম ১২ বছর আগে হাতে গোনা কয়েকটি ছিল। এখন কয়শ কিংবা কয় হাজার সেটি দেখার বিষয়। তবে আমাদের কাছে ৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে নিবন্ধনের জন্য। আমরা ইতোমধ্যে দিয়েছি, আরো কয়েকশ দেওয়া হবে। অর্থাৎ নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলছে। এভাবেই গণমাধ্যমের গ্রোথ হয়েছে।
ডিআরইউ’র সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শওকত মাহমুদ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।