পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোথাও গনগনে রোদ, তাপদাহে অতিষ্ঠ জীবনযাত্রা। কোথাও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে শীতল চৈতালী হাওয়া। আবার কোথাও কোথাও আকাশ কালো করে মেঘ আর বহু প্রত্যাশিত স্বস্তির বৃষ্টিপাত। ছিল বজ্রের গর্জনও। চৈত্রের তৃতীয় সপ্তাহে এসে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমের প্রথম চৈতালী বর্ষণ হয়েছে।
বারিধারায় সিক্ত হলো দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাসের অনাবৃষ্টি-খরার দহন, রুক্ষ-খটখটে শুষ্ক আবহাওয়ায় নির্জীব-আধপোড়া মাঠ-ঘাট, ফল-ফসল, পরিবেশ-প্রকৃতি। খরাক্লিষ্ট পৃথিবীতে বর্ষণকে বলা হয় রহমতের বৃষ্টি। বৃষ্টিকে শান্তির প্রতীকরূপে দেখেন কবি- ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি। শুষ্ক হৃদয় লয়ে আছে দাঁড়াইয়ে, ঊর্ধ্বমুখে নরনারী’। এ অবস্থাতেই গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড সিলেটে ৭৮ মিলিমিটার। সিলেট অঞ্চলে এই বর্ষণ বিশেষ করে খরার কবলে আধপোড়া চা-বাগানগুলোর সবুজ-সতেজতার জন্য টনিকের কাজ দেবে। এছাড়া শ্রীমঙ্গলে ৪৮, নেত্রকোণায় ৪৬, ময়মনসিংহ ও নিকলিতে ২, রাজারহাটে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও বিভিন্ন স্থানে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হয় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি।
গত চার মাসে সারা দেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৯৮ শতাংশই কম বৃষ্টিপাত হয়, যা গুরুতর খরা-অনাবৃষ্টির সূচক বহন করছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭.৬ এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ১৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৫.২ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবশ্য গত এক সপ্তাহের মধ্যে দিন ও রাতের তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস পায়। কিছুটা কমেছে তাপদাহের দাপট।
এদিকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে শিলাবৃষ্টি হলে তাতে ফল-ফসল, শাক-সবজি, আমের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া থাকবে প্রধানত শুষ্ক। খুলনা বিভাগ এবং গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে কিছু জায়গায় আজ থেকে তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। আগামী ৪৮ আবহাওয়ায় কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। এরপরের ৫ দিনে তাপমাত্রা ফের বৃদ্ধি পেতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।