পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের নমনীয়তাকে দুর্বলতা ভাববেন না। যারা দেশে বিশৃঙ্খলা করছেন তাদের মূল উৎপাটনে আমরা বদ্ধপরিকর। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু ফর ইউ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা এখন বিশৃঙ্খলা করছে তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও বিশৃঙ্খলা করেছিল। তারা একই গোষ্ঠী এবং তাদের সাথে ছিল বিএনপি। আমরা জানি আপনারা কারা? বাইতুল মোকাররমে, পবিত্র কোরআনে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। এই সময় পশু-পাখিও আপনাদের হাতে রেহাই পায়নি।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমণের সঙ্গে রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দেয়ার কি সম্পর্ক? ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেয়া হলো কেন? এরা সবাই দুষ্কৃতিকারী, শান্তি ও স¤প্রীতির শত্রু। এদের যদি খোঁজ খবর নেই, তবে দেখা যাবে এদের বাবা-দাদারা সব রাজাকার ছিল। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। তাদের বাবা-দাদারা নারী নির্যাতন ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমণ নিয়ে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তিনি কোনো দলের নেতা হিসেবে বাংলাদেশে আসেননি। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাতে বাংলাদেশে এসেছে। তিনি বলেন, যে ভারত ১৯৭১ সালে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে রক্ত ঝরিয়েছে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানা যায় না। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সমগ্র পৃথিবীতে চষে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য। সেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশে এসেছেন। অথচ তার আগমণ নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সা¤প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে বেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার রচনা করেছি। যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল তারা আজকে অসা¤প্রদায়িক চেতনার ওপর আঘাত হেনেছে। ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এর প্রধান সমন্বয়ক এ এস এম শামছুল আরিফিনসহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সদস্য সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, সংসদ সদস্য পংকজ নাথ, সিস্টার নিবেদিতা, সত্যম রায় চৌধুরী, ড. রাধা তমাল গোস্বামী, শংকর মন্ডল, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং সুভাষ সিংহ রায় প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।