পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নানান আনুষ্ঠানিকতা, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান, আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হল বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম দিন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ টানা দশদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীদের আগমন ও শুভেচ্ছাবার্তা এবং দেশ বিদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর নানা আয়োজন-অনুষ্ঠানে প্রাণবন্ত ছিল এ ক’দিন।
দেশের ৫১ তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে আসার পর দুপুরে সাভার স্মৃতি সৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
টানা দশ দিনের অনুষ্ঠানে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠানের প্রথমদিন সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, ১৯ মার্চ শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এছাড়া ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন ১৮ মার্চ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ওআইসি’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন, পোপ ফ্রান্সিস, তাকাশি হাওয়াকাওয়ার ছেলে ওসামু হাওয়াকাওয়া।
মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত করেছে ভারত সরকার। যা গতকাল মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার হাতে এ পুরস্কার নিজ হাতে তুলে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের শেষদিনে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছি। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, ভেদাভেদ ভুলে আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করব। গত ১২ বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুহূর্তে আসুন প্রতিজ্ঞা করি সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করব। দক্ষিণ এশিয়াকে উন্নত-সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।
বঙ্গবন্ধুকে ভারত সরকার গান্ধি শান্তি পদক দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, এই শুভ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মর্যাদাশীল ‘গান্ধি শান্তি পুরস্কার-২০২০’- এ ভূষিত করার জন্য। এই পুরস্কারে ভূষিত করার মাধ্যমে ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একজন যোগ্য নেতা এবং গান্ধিজীর প্রকৃত অনুসারীকেই সম্মানিত করলো।
বাংলাদেশের সুখে-দুঃখে ভারত পাশে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিচ্ছে। আমাদের ১২ লাখ করোনার টিকা উপহার দিয়েছেন। আরও টিকা উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি, তার সরকার এবং ভারতের জনগণের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভারতের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ভারত শুধু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র্ই নয়, ভারতের সঙ্গে আমাদের রয়েছে ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত এবং ভৌগোলিক সেতুবন্ধ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে ভারতের সরকার এবং সেদেশের জনগণ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের অত্যাচারের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশ-ভারত মিত্র বাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের যে আত্মত্যাগ, সাহায্য-সহযোগিতা তা কখনও ভুলবার নয়। আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে সে অবদানের কথা স্মরণ করি।
অন্য দেশের ক্ষেত্রে যা-ই হোক না কেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের সব রাজনৈতিক দল ও দেশটির জনগণ এক ও অভিন্ন থাকে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় উল্লেখ করেন।
জাতির পিতার হত্যাকান্ড এবং তারপরে ভারতে আশ্রয় পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমরা দুই বোন জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যাই। আমাদের দেশে ফিরতে বাধা দিলে আমরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ি। আমার পরিবার এবং আমার ছোটবোন শেখ রেহানাকে ভারত সরকার আশ্রয় দেয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে। ওই সরকার আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। এমন কী আমার বোন রেহানার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেই পাসপোর্টও তারা রেহানাকে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিচ্যুতি ঘটিয়েছিল।
বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রযাত্রার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছি। বিগত ১২ বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশ সরকার প্রধান বলেন, ভারতের সঙ্গে বর্তমানে আমাদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ নীতির প্রশংসা করি। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকা পাঠানোর মাধ্যমে মোদিজীর এই নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোরর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য স¤প্রতি ফেনী নদীর ওপর মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলো এখন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রাম বিমান বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিশ্বাসী ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি তিনি স্বপ্ন দেখতেন অর্থনৈতিক মুক্তির। এজন্য পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা এবং সমতার ভিত্তিতে সহযোগিতার ওপর তিনি জোর দিতেন।
ভারত এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি স্থিতিশীল এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে হলে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যদি পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি, তাহলে আমাদের জনগণের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী। বাংলাদেশের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুহূর্তে আসুন প্রতিজ্ঞা করি, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা আমাদের জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করবো। দক্ষিণ এশিয়াকে উন্নত-সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ বাংলাদেশ, ভারত ও বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।
এর আগে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে রাজধানীর ৩২ নন্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পুস্পস্তবক অর্পণের পর স্বাধীনতার স্থপতি এবং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় অভিবাদন জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে প্রবেশ করেন এবং ১৫ আগস্টের কালোরাতে ঘাতকের গুলিতে নিহত মহান নেতা রক্তাক্ত অবস্থায় সিঁড়িতে যেখানে পড়ে ছিলেন সেখানে ফুলের তোড়া অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক ডাক টিকিট এবং উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ডাক টিকিট ও উদ্বোধনী খাম ঢাকা জিপিও ডাক টিকিট সংগ্রহশালা এবং দেশের অন্যান্য জিপিওতে পাওয়া যাবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: আফজাল হোসেন ও বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা উপহার
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদপুরের গাজনভি রোডস্থ শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রের (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে, তার সহকারি একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু এবং সহকারি প্রেস সচিব এবিএম সারওয়ার-ই-আলম সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে এসব উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তারা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান, সিটি মেয়র, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত, সাধারণ সম্পাদক এবং সিডিএ চেয়ারম্যান, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সরকারি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান ও সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম এবং সংসদ সদস্য এম এ লতিফের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ায় এক আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল : দক্ষিণাঞ্চলে শহিদ বেদিতে বরিশাল বিভাগ, জেলা এবং নগর প্রশাসন, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে।
রাজশাহী : রাজশাহীতে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা : খুলনায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ও মহানগর কমান্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, কেসিসি’র মেয়র, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শেরপুর : শেরপুরে শহীদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠন।
ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে।
নাটোর : নাটোরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যবর্গকে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
মাগুরা : মাগুরায় কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
গোপালগঞ্জ : সকালে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
ভোলা : ভোলায় শোভাযাত্রা, ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, প্রধানমন্ত্রীসহ বাঙালির নানা ঐতিহ্য ডিসপ্লের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
বামনা (বরগুনা) : বরগুনার বামনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন শারীরিক কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়।
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) : উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুষ্প অর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) : সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস সীমিত পরিসরে পালন করেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন।
গফরগাঁও : পৌরসভাসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।
গলাচিপা (পটুয়াখালী) : গলাচিপায় দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধের পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : গোয়ালন্দে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা হিসেবে মুজিব কোট পড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) : ইন্দুরকানীতে শহিদ মিনারে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তোপধ্বনি ও উপজেলা সৃতিসৌধসহ সকল শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : কুয়াকাটায় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা করেছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় ৫ মিনিটের জন্য অন্ধকাচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা।
লালপুর (নাটোর) : নাটোরের লালপুরে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও জাতীয় দিবস।
মধুখালী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের মধুখালীতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) : বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারতসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে।
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) : নেছারাবাদে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস।
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) : পার্বতীপুরে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যেগে যথাযথভাবে পালিত হয়েছে।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
রাজাপুর (ঝালকাঠি) : ঝালকাঠির রাজাপুরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আলোচনা সভা, দোয়া ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : উপজেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অর্পণ, তোপধ্বনিসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস ও সুবর্ণজয়ন্তী।
তিতাস (কুমিল্লা) : তিতাসে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।