Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে অত্যাধুনিক এভারকেয়ার হাসপাতাল চালু এপ্রিলে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০২১, ৬:৪২ পিএম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের অত্য্যাধুনিক হাসপাতাল চালু করতে যাচ্ছে এভারকেয়ার গ্রুপ। আগামী ৮ এপ্রিল এ হাসপাতাল উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেবা ও পাঁচ শতাধিকেরও বেশি মেডিকেল প্রোফেশনালসকে সঙ্গে নিয়ে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম সব স্তরের রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করবে।

হাসপাতালের জিএম ফজলে আকবর ইনকিলাবকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালটি চালু হলে চট্টগ্রামের মানুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা ভারতে যেতে হবে না। এখানেই বিশ্বমানের সেবা পাবেন তারা। এপ্রিলে হাসপাতালের উদ্বোধনের পরপরই আমরা সেবা চালু করতে পারব। বাংলাদেশি চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা এই হাসপাতালে সেবা দেবেন।

সরেজমিনে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার অনন্যা আবাসিকে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালটির অবকাঠামোর কাজ প্রায় শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তেও প্রস্তুতি।

সম্প্রতি হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক হোসাইন মো. ইমরান। তিনি বলেন, ক্যানসার, হৃদ্রোগ ও কিডনি রোগসহ ২৯টি বিভাগ নিয়ে চালু হবে হাসপাতালটি। এটি চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল।

৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের এ হাসপাতাল চট্টগ্রামের সর্বপ্রথম মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হসপিটাল হতে যাচ্ছে। এখানে থাকছে ২৪/৭ জরুরি বিভাগ। সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা এবং ২৭টি বিশেষ ও উপবিশেষ বিভাগ, যা পুরো অঞ্চলের ধারণক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম।

যাত্রা শুরু প্রসঙ্গে এভারকেয়ার গ্রুপের সিইও ম্যাসিমিলিয়ানো কোলেলা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষের কাছে বিশ্বমানের সেবা পৌঁছে দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। চট্টগ্রামের একমাত্র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হাসপাতাল হিসেবে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম।

সেবার মানদন্ড এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার সিইও ডা. রত্নদ্বীপ চাস্কার বলেন, ঢাকায় অবস্থিত শাখার মতো, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামও মেডিকেল দক্ষতা, প্রশিক্ষিত লোকবল এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে প্রথম দিন থেকেই সর্বাধুনিক সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্য স্থির করেছে।

উল্লেখ্য, হাটহাজারী উপজেলার অনন্যা আবাসিক এলাকায় ৪ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুটের বিশাল আয়তনের জায়গা নিয়ে ঢাকার চেয়েও বৃহৎ পরিসরে নির্মিত হয়েছে হাসপাতালটি।

জানা যায়, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, কেনিয়া এবং নাইজেরিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার উদীয়মান বাজারজুড়ে তাদের সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এভারকেয়ার হেলথ ফান্ড ও যুক্তরাজ্যের সিডিসি গ্রুপ। ২৯টি হসপিটাল, ১৬টি ক্লিনিক, ৭৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ২টি ব্রাউনফিল্ড অ্যাসেটস এই প্রতিষ্ঠানের পোর্টফোলিও’র অন্তর্ভুক্ত। দেশের উদীয়মান বাজারে একটি সিস্টেম্যাটিক স্বাস্থ্যসেবা তৈরি করতে প্রায় ১০ হাজার ৩৫০ জন কর্মী কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই হাসপাতাল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা। ২০০৫ সালে ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালের সহযোগিতায় ঢাকায় ৪২৫ শয্যার হাসপাতাল স্থাপনের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশে আসে এসটিএস গ্রুপ। ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তির আওতায় এসটিএস ‘অ্যাপোলো হাসাপাতাল’ নাম ও অ্যাপোলোর লোগো ব্যবহার করছে।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে অ্যাপোলো হাসপাতালের মালিক প্রতিষ্ঠান এসটিএস হোল্ডিংসের সিংহ ভাগ শেয়ার কিনে নেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এভারকেয়ার হেলথ ফান্ড ও যুক্তরাজ্যের সিডিসি গ্রুপ। এতে অ্যাপোলো হাসপাতালগুলোর মালিকানা চলে যায় ব্রিটিশ-মার্কিন কোম্পানি দুটির হাতে। এরপর হাসপাতালগুলোর নাম এভারকেয়ার করা হয়।

বিশ্বের ছয়টি দেশে এভারকেয়ারের হাসপাতাল রয়েছে। চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতাল হচ্ছে এভারকেয়ারের ৩০তম ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় হাসপাতাল।



 

Show all comments
  • সেতু চৌধুরী ১০ মে, ২০২১, ৭:২৫ পিএম says : 0
    শেতী রোগের চিকিৎসা কী হয়?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ