Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতার মিথ্যা ঘোষক দাঁড় করানো হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০২১, ৩:০৬ পিএম

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার নামটি পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকে আর সেই নাম মুছতে পারবে না। যেখানে মিথ্যা ঘোষক হওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, আন্তর্জাতিকভাবে সেই ঘোষকের আর কোনো ঠিকানা থাকবে না। কারণ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এটি দেখছেন, প্রচার করছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় রেজুলেশন হচ্ছে যে, ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’

আজ রোববার (২১ মার্চ) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। ১৫ আগষ্ট ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নামটা মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক দাঁড় করানো হয়েছিল। স্বাধীনতার নায়ক দাঁড় করানো হলো। ইতিহাস পাল্টে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হলো, তার (বঙ্গবন্ধু) নামটাও নেয়া যাবে না। মুক্তিযোদ্ধারা ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছি’, বলার সাহসও পায়নি। তারা সেই সাহস হারিয়ে ফেলেছে। কারণ তখন এটা বললেই নির্যাতন করা হতো। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলদারদের চাটুকারিতা করেছে, তারাই সবকিছু বলতে পারত।’

তিনি বলেন, ‘সত্যকে সত্য বলা নিষিদ্ধ ছিল। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, যে ভাষণের মধ্য দিয়ে অসহযোগ আন্দোলনকে সশস্ত্র বিপ্লবে রূপ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু, সেই ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল।’

এ সময় দল ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ ও আমার দলের নেতাকর্মীদের কাছেও কৃতজ্ঞ। কারণ তারা ভোট দিয়েছে বলেই আমরা আজ ক্ষমতায়। যার কারণে রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি, নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করছি। এ উপলক্ষে বহু দেশি-বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান এসেছেন, আসছেন। অনেকেই বার্তা পাঠাচ্ছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইংরেজরা এদেশের মানুষের আত্মগরিমা ধ্বংস করে দরিদ্র্য করে দিয়ে গেছে। জাতির পিতা এসে এদেশের মানুষকে আত্মমর্যাদাশীল করতে, স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী করতে চেয়েছেন। আমরাও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করছি। তিনি যা করেছেন, সেগুলোই করে যাচ্ছি। ৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত একটা কালো অধ্যায় ছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ আরেকটি কালো অধ্যায়। আমরা সেখান থেকে উত্তরণ করেছি। জাতির পিতার দেখানো পথে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ করছি।’



 

Show all comments
  • Al Amin ২১ মার্চ, ২০২১, ৭:৩০ পিএম says : 0
    new history come soon!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ