Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুর জীবনী মানেই বাংলাদেশের ইতিহাস-স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২১, ১২:৪০ এএম

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন,"আমরা খুবই ভাগ্যবান যে,আমাদের জীবদ্দশাতেই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে অংশ নিতে পারছি।আমাদের দেশের অনেক গুণী ব্যক্তিবর্গই আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছেন যারা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করতে ২০২১ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকতে চেয়েছিলেন।বঙ্গবন্ধু তাঁর গোটা জীবনই আমাদের জন্য,আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন।বিশ্বের অনেক দেশের স্বাধীনতা এসেছে হয় নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে অথবা টেবিল আলোচনার মাধ্যমে যাদেরকে কোন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়নি।ভিয়েতনামের স্বাধীনতার জন্য তিরিশ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে।আর আমাদেরকে মাত্র নয় মাস যুদ্ধ করতে হয়েছে।এই নয় মাসে দেশের মানুষ যেভাবে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল এই ঝাপিয়ে পড়ার শক্তি এসেছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কারনে।বঙ্গবন্ধু সেই ভাষা আন্দোলন থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন স্বাধীনতা ছাড়া এ জাতির মুক্তি নাই।বঙ্গবন্ধু তাঁর ছয় দফায় স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই ভাষণ দেশের সাধারণ মানুষকে এক সুতোয় বেঁধে নিয়েছিল,স্বাধীনতা যুদ্ধের মনোবল যুগিয়েছিল।বঙ্গবন্ধুর জীবন পর্যালোচনা করলে এক কথায় বলা যায়, বঙ্গবন্ধুর গোটা জীবনটাই হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস।"

বুধবার সকালে রাজধানীর মহাখালীস্ত বিসিপিএস অডিটোরিয়াম হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।

বিএনপি-জামাত জোটের সময় দেশের স্বাস্থ্যখাতকে জনগুরুত্বহীন করা ও বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডে বিএনপি জামাতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন,"১৯৭৫ সালে যে অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে,সেই একই শক্তি ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে এবং সেই একই শক্তি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়ও হামলা চালিয়েছে।তাদের লক্ষ্য এখনও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের দিকেই।তারা ক্ষমতায় গিয়ে শুধু দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।দেশের জন্য কিছুই করেনি।বিএনপি জামাতের সময় দেশের বার্ষিক বাজেট ছিল যেখানে মাত্র ৫০ হাজার কোটি টাকা।এখন শেখ হাসিনা সরকারের সময় কেবল স্বাস্থ্যখাতেই সরকারি বেসরকারি মিলে বাজেট ৫০ হাজার কোটি টাকা।তাদের সময় দেশে কোন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিলনা।আর এখন দেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ৫ টি।শেখ হাসিনা সরকার প্রতিটি জেলা হাসপাতালগুলিতে শয্যাসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি করেছে,৩৮ টি মেডিকেল কলেজ করেছে,দেশের ৮ বিভাগেই ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মানসহ অসংখ্য উন্নয়ন কাজ করেছে।করোনায় গোটা বিশ্ব যেখানে হিমশিম খেয়েছে তখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত মাথা উচু করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে যাচ্ছে।সবই সম্ভব হচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনেই।কাজেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে তাঁর সুযোগ্য কন্যার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।"

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা,মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা,সিডিসি ও এনসিডিসি এর পরিচালকবৃন্দসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ