Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার উদাসীন: ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাস সংক্রামণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার উদাসীন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে সংক্রামণের হার ৩ এরও নিচে নেমে এসেছিল সেখানে ১০ এর উপরে হয়ে গেছে। এটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। কিন্তু সরকার এখনো উদাসীন অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে যে কর্মকান্ডগুলো করা দরকার সেগুলোর একটাও তারা করছে না। এটাকে হয় তারা অবহেলা করছে, না হলে ইচ্ছাকৃতভাবে সেগুলো তারা গ্রহণ করছে না। যার জন্য জনগণের আবার করোনার কাছে বিপর্যস্ত হয়ে গেলো এবং বিরাট সংকটের সম্মুখীন।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, করোনা ধরণ পরিবর্তন করে আবার আক্রমণ করছে। সারা পৃথিবী কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সেই সাবধানতা অবলম্বন করেনি। বৃটেন লকডাউন করেছে, ভারতে লকডাউন করেছে আবার, ইউেেরাপ লকডাউন কিন্তু বাংলাদেশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কেননা তাদের সামনে কিছু অনুষ্ঠান সামনে আছে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, আমরা সত্য কথা বলছি, সত্য ইতিহাস তুলে ধরছি আর তারা ইতিহাসকে বিকৃত করছে। সেজন্য আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা লাগে। আজকে জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা মনে করি, এটা কেড়ে নেওয়ার কারো অধিকার নেই। এই খেতাব কারা দিয়েছে? এর জন্য একটা কমিটি ছিলো সেই কমিটি বিচার বিবেচনা করে ততকালীন কমান্ডারদের রিকন্ডেশন অনুযায়ী খেতাব দেয়া হয়েছে। ৫০ বছর পরে এসে সেই খেতাব বাতিল করা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা, মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা, অপমানিত করা।
তিনি বলেন, যদি খেতাব বাতিল হয়ও তাতে জিয়াউর রহমানের কিছু আসে যায় না। তিনি খেতাবের অনেক উর্ধ্বে। এই খেতাব বীরউত্তম মহিমান্বিত হয়েছে জিয়াউর রহমানের জন্য। জিয়াউর রহমান খেতাব দ্বারা মহিমান্বিত হন নাই। আজকে তো বীরউত্তম খেতাবে বহু মুক্তিযোদ্ধা এখনো জীবিত আছেন কে কয়জনের নাম জানে? এই খেতাব বাতিল করার কথা বলার পরে বাংলাদেশে সাধারণ রিকসা ওয়ালা থেকে শুরু করে দিনমজুর, গ্রামের টি-স্টল, শহরেরে ড্রইং রুম, রাস্তা-ঘাটে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম যতবার মানুষ আলোচনা করেছে, স্মরণ করেছে, বলেছে আজকে মুজিববর্ষে তাদের নেতার নাম কতবার বলেছেন তারা হিসাব করে দেখুক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা কারো সাথে কাউকে তুলনা করতে চাই না। প্রত্যেকের অবদান আমরা বলতে চাই। আসম আবদুর রবের প্রথম পতাকা উত্তোলন, শাহজাহান সিরাজের স্বাধীনতা ইশতেহার পাঠ, শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবেরও অবদান আছে এবং মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ৯ মার্চ পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিলেন তারও অবদান আছে, কাদের সিদ্দিকীর অবদান আছে। কাউকে আমরা ছোট করতে চাই না। যার যার অবস্থানে তাদেরকে সম্মান দিতে চাই। তাহলেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস হবে। আমরা সেটাই চাই।
সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারির সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর সুকোমল বড়ুয়া, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, বিএনরি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নবী উল্লা নবী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ