পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে পিকে হালদারের (প্রশান্ত কুমার হালদার) বান্ধবী নাহিদা রুনাইসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বিকেলে সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মতিঝিল থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অপর দু’জন হলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস’র তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবেদ হাসান এবং একই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী। নাহিদা রুনাই আহমেদ এ প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
দুদক সূত্র জানায়, রুনাই আহমেদসহ তিনজনকে গ্রেফতারের আগে তাদের বিরুদ্ধে দুদক একটি মামলা দায়ের করে। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশে পরস্পরের সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অস্তিত্বহীন আনান কেমিকেল লিমিটেড’র নামে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে ভুয়া ঋণ পেতে সহযোগিতা করেছেন। ঋণগ্রহীতা আনান কেমিকেল লিমিটেড’র পরিচালকরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ মদদে কাগজপত্র তৈরি করে। পরে তা বৈধ দেখিয়ে ব্যবহার করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তা ও বোর্ড সংশ্লিষ্টদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ভুয়া ঋণ তুলে আত্মসাৎ করেন। পরে ওই অর্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করে। যা দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় অপরাধ করেছেন-মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ দৈনিক ইনকিলাব ‘পিকে’র সহযোগী কে এই রুনাই আহমেদ?’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে রুনাই আহমেদকে দুদক হন্যে হয়ে খুঁজছে-মর্মেও তথ্য দেয়া হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নাহিদা রুনাই আহেমদ ছিলেন পিকে হালদারের ‘ছায়া’ এবং ‘ভরসা’। পিকে হালদারের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ক্ষেত্রে পিকে হালদার চতুর ও বুদ্ধিমতি রুনাই আহমেদকে কাজে লাগাতেন ‘উচ্চ মহল’ ম্যানেজ করতে। সঙ্কটে-সন্ধিক্ষণে তিনিই পিকে হালদারকে বুকে আগলে রাখতেন। এই প্রতিবেদন প্রকাশের এক সপ্তাহের মাথায় গ্রেফতার হলেন নাহিদা রুনাই আহমেদ। জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত পালাতেও পিকে হালদারকে সহায়তা করেন এই রুনাই। তবে এ বিষয়ে বিশদ তথ্য জানতে রুনাই এবং অপর দুই ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিচ্ছে দুদক টিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।